বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে কলকাতায় বিক্ষোভ–মিছিল

কলকাতার একাডেমি চত্বরে ভাষা ও চেতনা সমিতির প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৮ অক্টোবর, কলকাতা।
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও বসতবাড়িতে হামলার প্রতিবাদে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। সমাবেশ থেকে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মন্দির মেরামত করাসহ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টস চত্বরে ভাষা ও চেতনা সমিতির উদ্যোগে সোমবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বন্দিমুক্তি কমিটি, ফ্রেন্ডস অব ডেমোক্রাসি, এআইপিএফ এবং এসআইও সংগঠনও অংশ নেয়। এ সময় বাংলাদেশে মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি–সিপিএমের ছাত্রসংগঠন এসএফআই হামলার প্রতিবাদে কলকাতার কলেজ স্ট্রিট, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের অদূরে বেকবাগানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সিপিআই (এমএল)। সোমবার রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভের করে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখা। তারা দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের ভারত সেবাশ্রম থেকে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করে। হামলার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতা ও বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী পার্ক সার্কাসের বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে স্মারকলিপি দেন।

এ সময় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরও সাতজন বিধায়ক। স্মারকলিপি প্রদান শেষে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই, এই ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না আমরা। আমরা শন্তি ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই।’