বিজেপিকে হটাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে রাজি সিপিএম
বিজেপিকে হটাতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই আন্দোলনে অংশ নিতে রাজি রাজ্যের আরেক দল সিপিএম। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন সিপিএমের প্রবীণ নেতা ও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে গত রোববার দলীয় এক সভায় যোগ দিয়ে বিমান বসু বলেন, সর্বভারতীয় পর্যায়ে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট হলে সেই জোটে থাকতে রাজি সিপিএম। তাদের লক্ষ্য বিজেপিকে হটানো। কারণ, বামফ্রন্ট বা বাম দল চিরদিন ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে লালিত। বামফ্রন্ট চায় না, বিজেপির মতো ধর্মান্ধ একটি রাজনৈতিক দল ভারত শাসন করুক।
বিমান বসু আরও বলেন, সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিবিরোধী যেকোনো জোটে তাঁরা শামিল হতে রাজি। সেখানে তৃণমূল থাকলেও তাঁদের আপত্তি থাকবে না। তবে তিনি এ–ও বলেন, সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়তে আপত্তি না থাকলেও, এই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের কোনো জোট গড়ার প্রশ্ন নেই।
এদিকে সিপিএম নেতা ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও সিপিএমের সাবেক বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী গতকাল সোমবার বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে বামেরা এই রাজ্যে এক হতে যাবে কেন? বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কবে লড়াই করেছে? বিজেপির সরকারের সঙ্গেই তো তৃণমূল কেন্দ্রীয় সরকারে থেকেছে। বিজেপিকে তো এই রাজ্যে নিয়ে এসেছে তৃণমূলই।
সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, তৃণমূল কোনো দিন বিজেপির বিরোধিতা করেনি। এ ক্ষেত্রে বামেরাই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। তাই এই রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতার রাস্তা থেকে সিপিএম সরবে না।
এদিকে সিপিএম নেতা বিমান বসুর মন্তব্যের পর তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি হটাতে মহাজোট গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই সিপিএমের এই অবস্থান বদলের ঘোষণা বিলম্বিত বোধোদয় বলে মনে করেন তিনি।
বিমান বসুর এই মন্তব্যের পর বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য গতকাল বলেন, বামেদের এই অবস্থান বদল আত্মসমর্পণের শামিল। বিজেপি কখনো এই রাজনীতি করে না। লোকসভা আর বিধানসভায় এই রাজ্যের বামেদের আসন শূন্য। তাই তাদের কথার গুরুত্ব নেই বলে মনে করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।