ভক্তদের আশা, বিসর্জনে বিদায় নেবে করোনা–অসুর

বেহালা বড়িশা ক্লাবের দুর্গাপ্রতিমা
ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে চলমান দুর্গোৎসবে করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা করা হলেও এখন পর্যন্ত সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার নিম্নমুখী। পূজায় ভিড় করা দর্শনার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজ্য থেকে বিদায় নেবে করোনা–অসুর।

গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তরের সবশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫৩০ আর মারা গেছেন ১০ জন। এদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কম।

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার শেষ দিন আজ শুক্রবার। অষ্টমী, নবমী ও দশমীর দিনে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল কলকাতার আবহাওয়া দপ্তর। তবে এবার নবমীর দিন পর্যন্ত রাজ্যে সেভাবে বৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হলেও নবমীর দিন পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি করোনা পরিস্থিতির মধ্যে প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে বুর্জ খলিফার আদলে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের তৈরি পূজামণ্ডপটি গত বুধবার বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ১০২ আর মারা গেছেন ২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬০১ জন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ নিয়ে কলকাতাসহ এই রাজ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৮ হাজার ৯৪৫ জন। আর আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ১২। সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯৩ আর সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩২। তবে এখনো এই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ৭ হাজার ৫৭৬ জন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ১১৮ জনের। টিকা দেওয়া হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৭ জনকে। পূজার ছুটির জন্য অনেক ক্লিনিক ও চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকায় নমুনা পরীক্ষা ও টিকাকরণ কম হয়েছে। সব মিলিয়ে এই রাজ্যে এখন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯ হাজার ৮০০ জনের। আর টিকাকরণ হয়েছে ৬ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার ৮৭১ জনের।