ভারতজুড়ে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরির বিষয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, ১০ আগস্ট লোকসভায় এনআরসি নিয়ে কথা বলেন নিত্যানন্দ রাই। লোকসভার অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে নিত্যানন্দ রাই বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে এনআরসি তৈরির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার।’
তবে নাগরিক আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী, ২০২১ সালের আদমশুমারির প্রথম পর্যায়ের সঙ্গে জাতীয় জনসংখ্যাপঞ্জি (এনপিআর) হালনাগাদ (আপডেট) করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে লোকসভায় জানান নিত্যানন্দ রাই।
এখন পর্যন্ত শুধু আসামে এনআরসি হালনাগাদ করা হয়েছে। সেখানে ২০১৯ সালে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। ৩ দশমিক ৩ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ১৯ দশমিক শূন্য ৬ লাখ মানুষের নাম তালিকায় বাদ যায়। এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক।
লোকসভায় অপর এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, এনআরসি নিয়ে কোনো ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হলে তিনি ১২০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন। আসামে এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের জন্য এ সুযোগ এখনো আছে।
নিত্যানন্দ রাই বলেন, আসামে এনআরসি–প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বাদ যাওয়া ব্যক্তিদের জন্য সব ধরনের আইনি পথ খোলা আছে। তাই বর্তমান পর্যায়ে তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রশ্ন উঠছে না।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, এনপিআর হালনাগাদের সময় জনবিন্যাস, পরিবার ও ব্যক্তির অন্যান্য তথ্য পরিমার্জন করা হবে। তবে এর জন্য কোনো নথি (ডকুমেন্ট) সংগ্রহ করা হবে না।
করোনা মহামারির কারণে এনপিআর হালনাগাদ স্থগিত করা হয় বলে জানান নিত্যানন্দ রাই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের সামগ্রিক পরিচিতিমূলক তথ্যপঞ্জি তৈরি করাই এনপিআরের উদ্দেশ্য।