ভারতেও করোনার অমিক্রন ধরন শনাক্তের আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি
ছবি: এএনআই

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে আসা এক যাত্রী করোনার নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার কর্ণাটক রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর বলেন, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনার যে ধরন শনাক্ত হয়েছে, তা ডেলটা ধরনের চেয়ে ভিন্ন। তিনি অমিক্রনে আক্রান্ত কি না, তা নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।

চলতি মাসের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই নাগরিক ভারতের কর্ণাটকে পৌঁছানোর পর তাঁদের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষায় জানা যায়, দুজনের একজন ডেলটা ধরনে আক্রান্ত। আর অপরজন ভিন্ন কোনো ধরনে আক্রান্ত। কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নমুনাগুলো নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে।

তবে কে সুধাকরের দাবি, অমিক্রন ধরন মোকাবিলায় ভারত ভালোভাবে প্রস্তুত আছে। করোনার বিভিন্ন ধরন চিহ্নিত ও এ নিয়ে গবেষণা করতে ইনসাকগ ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্কের আওতায় দেশজুড়ে বিভিন্ন ল্যাব কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা ও হংকং থেকে যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বসভরাজ বোম্মাই।

কর্ণাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নয় মাস ধরে শুধু ডেলটা ধরনই দেখা গেছে। আপনারা বলছেন আক্রান্ত দুই ব্যক্তির নমুনাগুলোর একটি অমিক্রন ধরনের। এ নিয়ে আমি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে পারব না। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুধাকর পেশায় চিকিৎসক। তিনি বলেন, অমিক্রন ধরনের ব্যাপারে জানতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা সাবেক সহপাঠীদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তাঁরা (সহপাঠীরা) জানিয়েছেন, অমিক্রন ধরন খুব দ্রুত ছড়ালেও তা ডেলটার মতো অতটা ভয়ংকর নয়। আক্রান্ত ব্যক্তিদের বমি বমি ভাব বা বমি হয়, কখনো স্পন্দনের হার বেড়ে যায়। তবে এ ক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধ চলে যায় না। খুব মারাত্মক না হওয়ায় এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খুব একটা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় না।

কে সুধাকর জানান, ১ ডিসেম্বর নাগাদ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং তখন অমিক্রনের আচরণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এদিকে আইসিএমআরের রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সমীরণ পান্ডে বলেন, ভারতে ইতিমধ্যে অমিক্রন ধরন হয়তো চলে এসেছে। ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় অমিক্রন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর দেশটি থেকে বেশ কিছু ফ্লাইট ভারতে আসায় এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। যাত্রীদের মধ্যে কিছু উপসর্গ থাকার কথাও উল্লেখ করেন পান্ডে। এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতে নতুন ধরন শনাক্ত হলে আমি অবাক হব না। এ ধরনকে যতটা সংক্রামক মনে করা হচ্ছে, তাতে এটি ভারতে শনাক্ত হওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’