ভারতে ‘এক্সই’ উপধরন শনাক্ত হয়নি: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ভারতের মুম্বাইয়ে একজনের করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের উপধরন ‘এক্সই’ শনাক্ত হয়েছে বলে গতকাল বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশিত হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলে, এখন পর্যন্ত আসা তথ্যপ্রমাণে মুম্বাইয়ে কেউ এ ধরনে আক্রান্ত হননি। খবর এনডিটিভির।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানায়, ‘মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাসের এক্সই উপধরন শনাক্ত হওয়ার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, বর্তমানে যেসব তথ্যপ্রমাণ আছে, সেসব দেখে নতুন এ ধরন শনাক্ত হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে না।’
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, একজনের এক্সই শনাক্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর নমুনা সংগ্রহ করে ভারতে করোনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য গঠিত কনসোর্টিয়ামের বিশেষজ্ঞরা তা বিশ্লেষণ করেন। তবে এর সঙ্গে অমিক্রনের উপধরন এক্সইর কোনো মিল পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যিনি ‘এক্সই’ পজিটিভ হয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তিনি একজন নারী। বয়স ৫০ বছর। তাঁর অন্য কোনো রোগ নেই। করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গও নেই তাঁর শরীরে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এসেছেন। আসার পর করোনা নেগেটিভ হয়েছিলেন তিনি।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন শনাক্ত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থাও এ কথা নিশ্চিত করে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ ইঙ্গিত দিচ্ছে, অমিক্রনের মূল উপধরনটির চেয়ে এক্সই আরও বেশি সংক্রামক।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থা এক্সই ছাড়াও এক্সডি ও এক্সএফ নামের এ রকম আরও দুটি উপধরন পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এক্সডি ফ্রান্স, ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামে শনাক্ত বিএ.১ উপধরনের সংকর রূপ।
এক্সএফ ডেলটা ও বিএ.১-এর পরিবর্তিত রূপ। ধরনটি এ পর্যন্ত শুধু ব্রিটেনে শনাক্ত হয়েছে।
নতুন শনাক্ত এক্সই নিয়ে উদ্বেগ হলো এটি অমিক্রনের দুটি উপধরন বিএ.১ ও বিএ.২-এর মিশ্রণ।
অমিক্রনের এ দুই উপধরনে বিশ্বের অনেক জায়গায় করোনার নতুন নতুন ঢেউ দেখা দিয়েছিল। এ ছাড়া আগের শনাক্ত যেকোনো ধরনের চেয়ে এটি আরও দ্রুত বিস্তার ছড়াতে পারে।
বিএ.২-এর নমুনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এক্সই ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি সংক্রামক। তবে এটি প্রকৃতপক্ষে কতটা দ্রুত ছড়ায়, সেটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সংস্থাটি বলেছে, নতুন উপধরনটির সংক্রমণের ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও তথ্য-উপাত্ত প্রয়োজন।