ভারতে এক দিনে তিন লাখের বেশি করোনা শনাক্ত
ভারতে বিপজ্জনক হারে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ লাখ ১৭ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এটা এক দিনে শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে করোনা শনাক্ত ৩ কোটি ৮২ লাখ ছাড়াল। খবর এনডিটিভির।
করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ভারতের ২৯টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। এই ধরনের সংক্রমণ সংখ্যা ৮ হাজার ২০৯। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৭৩৮ জনের অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে, এরপরই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যটিতে অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭২ জন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে শেষ ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তথ্য দিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশটিতে মোট শনাক্তের মধ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ দশমিক ৩। এই সময়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও ৯৩ হাজার ৫১ বেড়েছে। আর করোনায় মোট সুস্থ হওয়ার হার কমে ৯৩ দশমিক ৬৯ দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪১। এ ছাড়া গত সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ০৬। গত বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি গণটিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১৬০ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
ভারতে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর অন্যতম মহারাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৪৩ হাজার ৬৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা গতকাল বুধবারের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি, মারা গেছেন আরও ৪৯ জন। নতুন করে ২১৪ জনের অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে দিল্লিতে নতুন করে ১৩ হাজার ৭৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৩৫ জন। দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে বলা হয়েছে, এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭৫ হাজার ২৮২। এর মধ্যে ৫৮ হাজার ৫০১ জন বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ হাজার ৬২৪ জন।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও ৪৯১ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভারতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৩।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর হার ডেলটা ধরনের তুলনায় কম। গত বছর ডেলটার প্রকোপে ভারতে লাখো মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
বার্তা সংস্থা এএফপির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মহামারি করোনা বিশ্বজুড়ে ৫৪ লাখ ৮০ হাজার ৪৮১ জনের প্রাণ কেড়েছে।