ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আবারও মৃত্যু বাড়ছে। আজ শনিবার দেশটির সরকারপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৭৬৬ জন। আর মারা গেছেন ১ হাজার ২০৬ জন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবারের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে। তবে দৈনিক হিসাব অনুসারে মৃত্যু বেড়েছে। কারণ, শুক্রবার মারা গিয়েছিলেন ৯১১ জন। আর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৪৩ হাজার ৩৯৩ জনের।
সবশেষ তথ্যসহ ভারতে করোনায় সংক্রমিত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৬। করোনায় মারা যাওয়া মানুষের মোট সংখ্যা ৪ লাখ ৭ হাজার ১৪৫।
ভারতে টানা ৩৩ দিন ধরে ৫ শতাংশের নিচে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তার মধ্যে টানা ১৯ দিন ধরে শনাক্ত হচ্ছে ৩ শতাংশের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা শুক্রবারের তুলনায় শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ কম।
এদিকে শনিবারের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে কেরালা রাজ্যে। এই রাজ্যে নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫৬৩ জনের। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৯৯২ জনের। তামিলনাড়ুতে শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৯, কর্ণাটকে শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ২৯০ জনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
ভারতে করোনা থেকে রোগীদের সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এই হার ৯৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত মার্চের মাঝামাঝিতে ভারতে এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের কাছাকাছি। তারপর দেশটিতে সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ে। গত ৭ মে ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের তথ্য জানানো হয়।
৪ এপ্রিল ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মাইলফলক ছাড়ায়। ২৩ জুন ছাড়ায় তিন কোটির মাইলফলক। ২৩ মে করোনায় মৃত্যু তিন লাখের মাইলফলক ছাড়ায়। আর ২ জুলাই মৃত্যু চার লাখের মাইলফলক ছাড়ায়।
বিশ্বের কোনো দেশে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভারতের দখলে। ২২ এপ্রিলের আগপর্যন্ত এ রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের দখলে ছিল।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারত। ভারতের পর ব্রাজিল। আর মৃত্যুর দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সবার ওপরে। ব্রাজিল আছে দ্বিতীয় ও ভারত আছে তৃতীয় অবস্থানে।