ভারতে মাদার তেরেসার দাতব্য সংস্থায় বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ
মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য সংস্থার জন্য বিদেশি অর্থায়নের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। খবর বিবিসি অনলাইনের।
মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ নামের সংস্থাটির অধীন স্কুল, ক্লিনিক, পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এতে কয়েক হাজার নান নিয়োজিত রয়েছেন।
বড়দিনের দিনে, অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতিকূল অবস্থার কারণে নিবন্ধন নবায়ন না করার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির বিরুদ্ধে লোকজনকে খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ করে আসছিল। তবে সংস্থাটি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, তাদের লাইসেন্স নবায়নের আবেদন সরকার খারিজ করে দিয়েছে। তাই ‘বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত’ তারা বিদেশি অর্থায়নসংক্রান্ত কোনো অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে না।
দাতব্য সংস্থাটির সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সরকার জব্দ করেছে—সোমবার এমন টুইট করে সমালোচনার মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মমতার এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, দাতব্য সংস্থাটির কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) জন্য বিদেশি তহবিল সংকুচিত করার চেষ্টা করছে। গত বছর বিধিনিষেধের কারণে গ্রিনপিস ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হয়েছিল।
জন্মস্থান মেসেডোনিয়া থেকে ভারতে আসা রোমান ক্যাথলিক মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে কলকাতাভিত্তিক এ দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
বিশ্বে ক্যাথলিকদের যত দাতা সংস্থা রয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে সুপরিচিতগুলোর একটি। মানবিক কাজের জন্য ১৯৭৯ সালে মাদার তেরেসা নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। তাঁর মৃত্যুর ১৯ বছর পর ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস তাঁকে একজন ‘সন্ত’ বলে ঘোষণা করেন।