মমতার প্রশংসা করে বিপাকে সিপিএম নেত্রী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজনীতির ইতিহাসে সেরা বাঙালি নেত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিরোধী দল সিপিএমের সদস্য অজন্তা বিশ্বাস। তৃণমূলের দৈনিক পত্রিকা ‘জাগো বাংলায়’ গত বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এক ধারাবাহিক লেখায় মমতার নানা প্রশংসায় মেতেছেন তিনি। এর জের ধরে সিপিএমের সমালোচনার মুখে পড়েছেন অজন্তা।
অজন্তা বিশ্বাস সিপিএমের সাবেক রাজ্য সম্পাদক ও পলিট ব্যুরো সদস্য প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে। এ ছাড়া তিনি কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং সিপিএমের অধ্যাপক ও গবেষক সংগঠনের সদস্য।
অজন্তা জাগো বাংলায় ‘বঙ্গ রাজনীতির নারীশক্তি’ শীর্ষক একটি ধারাবাহিক লেখেন। সেখানে তিনি ভারতের স্বাধীনতাপূর্ব সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলার নারীশক্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। লেখাগুলোতে তিনি মমতাকে ‘দিদি, জননেত্রী, অগ্নিকন্যা’ বলে সম্বোধন করেছেন।
ওই ধারাবাহিক লেখায় অজন্তা বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা এক ইতিহাস রচনা করেছেন। তিনি সিঙ্গুরে মমতার টাটাবিরোধী জমি আন্দোলনের প্রশংসা করেছেন। তাঁর নানা সংগ্রামের বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে অজন্তার এই মমতাস্তুতি নিয়ে সিপিএমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কেন এমন লেখা, জানতে তাঁকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল শনিবার আইএসএফ বা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সিপিএমের মুখপত্র ’দৈনিক গণশক্তিতে’ এক লেখায় দলটির প্রশংসা করেছেন। সেখানে স্তুতি গেয়েছেন সিপিএমের নেতা তথা বাম ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুরও। উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিধানসভা নির্বাচনোত্তর সহিংসতার কথা। লেখায় তিনি নিজেকে বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের প্রতিপক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফের সঙ্গে গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট গড়ে সিপিএম ও কংগ্রেস। তাদের এই জোট ২৭টি আসনে লড়ে মাত্র একটিতে জেতে। নওশাদ সিদ্দিকি হয়ে যান কংগ্রেস-বাম জোটের একমাত্র বিধায়ক। তবে নির্বাচনে কংগ্রেস বা বাম জোট এককভাবে একটি আসনেও জিততে পারেনি।