মাদার তেরেসার দাতব্য সংস্থার বিদেশি অনুদান আনার বাধা কাটল

মাদার তেরেসা ১৯৫০ সালে কলকাতাভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন
ছবি: রয়টার্স

অবশেষে নোবেল পুরস্কারজয়ী মাদার তেরেসার দাতব্য প্রতিষ্ঠান মিশনারিজ অব চ্যারিটিকে বিদেশি অনুদান আনার অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিছু ‘আপত্তিকর তথ্যের’ ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় আগে এই অনুমতির বিষয়টি স্থগিত করেছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আপত্তিকর তথ্য এতগুলো মানুষকে হেনস্তা করল। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই আপত্তিকর তথ্য অদৃশ্য হয়ে গেল।

গত এক মাসে ভারতের কয়েক শ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিদেশি অনুদানের অনুমতি স্থগিত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিশনারিজ অব চ্যারিটিও এর অন্যতম। তবে মিশনারিজের অনুদানের অনুমতি স্থগিত করায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। চাপের মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বলে মনে করছেন দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত। তিনি বলেছিলেন, মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী ও কর্মীর কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছাচ্ছে না। আইনের পাশাপাশি মানবিক দিকটা দেখাও একান্তভাবে প্রয়োজন।

একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সিপিআইএমের (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্ক্সিস্ট) পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সাবেক অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমও বলেছিলেন, মাদার তেরেসার স্মৃতিকে এর চেয়ে বড় অপমান হয়তো আর করা যেত না। তিনি সারা জীবন গরিবের জন্য কাজ করে এই উপহার পেলেন।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থাটির জন্য বিদেশি অর্থায়নের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না বলে জানিয়েছিল ভারত সরকার। মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ নামের সংস্থাটির অধীন স্কুল, ক্লিনিক, পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এতে কয়েক হাজার নান নিয়োজিত রয়েছেন।

ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির বিরুদ্ধে লোকজনকে খ্রিষ্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ করে আসছিল। তবে সংস্থাটি এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।