মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর হার নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এ দফায় সবচেয়ে বেশি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হারও কমছে না রাজ্যটিতে। তবে এর মধ্যে স্বস্তির খবর, এ রাজ্যে নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমে কমেছে।
গোটা এপ্রিলে মুম্বাই শহরসহ মহারাষ্ট্রজুড়ে করোনার তাণ্ডব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের থেকে নতুন সংক্রমণের হার অনেকটাই কমেছে। গতকাল সোমবার মহারাষ্ট্রে নতুন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৭০০ জন। মুম্বাইতে এই সংখ্যা ৩ হাজার ৭৯২। গতকাল এই শহরের ৪১ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়। তার মধ্যে মাত্র ৩ হাজার ৭৯২ জন পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে।
মুম্বাইয়ের এক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কথায়, এখানকার করোনার পরিস্থিতি ভালো দিকের। তবে মুম্বাইসহ গোটা রাজ্যের করোনা রোগীর মৃত্যুর হার নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। এক দিনের মধ্যে এ রাজ্যে ৫২৪ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্কফোর্সের প্রধান সদস্য ডা. শশাঙ্ক যোশীর মতে, মুম্বাই হয়তোবা কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কিছুটা সামলে নিয়েছে। ৪ এপ্রিল মুম্বাইতে করোনা সংক্রমিত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ১৬৩ জন। গতকাল সেই তুলনায় রোগী বেশ কম। তাই মুম্বাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ কিছুটা আশার আলো দেখছে।
এর মধ্যে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে, এ রাজ্যে ১৮ বছর থেকে সব বয়সী মানুষকে বিনা মূল্যে টিকা দেওয়া হবে। আগে ষাটোর্ধ্ব মানুষের জন্য ছিল বিনা মূল্যে এ টিকাদান কর্মসূচি। এখন ১৮ থেকে ৪৫ বয়সী মানুষের জন্যও বিনা মূল্যে টিকাদানের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক জানিয়েছেন, মহা বিকাশ আঘাদি জোট নিজের কোষাগার থেকে এ রাজ্যের মানুষকে টিকাদান করবে। মালিকের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী স্পষ্ট যে তারা ১৮ থেকে ৪৫ বয়সীদের জন্য টিকা সরবরাহ করবে না। এর ব্যবস্থা রাজ্যদের নিজেদেরই করতে হবে। তাই এই রাজ্যের ১৮ থেকে ৪৫ বয়সী মানুষের টিকাদানের জন্য ১৫ কোটি ডোজ কিনতে হবে। ৪৫ বছরের বেশি মানুষের টিকার সরবরাহ কম হওয়ায় অনেক টিকাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার খুব শিগগির করোনার টিকা পাঠাবে বলে তিনি জানান।