মোদি ক্ষমা চেয়ে বললেন, এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন জারির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিন সপ্তাহের এই লকডাউন অনেক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা স্বীকার করে মোদি বলেন, ‘আমি জানি, এই লকডাউনে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
২৪ মার্চ থেকে ভারতজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি করে মোদির সরকার। চার ঘণ্টারও কম সময়ের নোটিশ দিয়ে এই লকডাউন জারি করায় সরকারের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। চলছে কঠোর সমালোচনা। ভারতের ১৩০ কোটি জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখন বেকার। ক্ষুধা ও কষ্টে দিন পার করতে হচ্ছে তাদের। শহরমুখী লাখো শ্রমিককে নিজ নিজ গ্রামে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁদের অনেকেই হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন।
জনগণের এ দুর্ভোগ নিয়ে গতকাল রোববার বেতারে প্রধানমন্ত্রীর মাসিক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, ‘এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’ মোদি বলেন, বিশেষত যখন আমি আমার দরিদ্র ভাইবোনর দিকে তাকাই, তাঁদের ভেতরটা অনুভব করি। তাঁরা যেন বলছেন, প্রধানমন্ত্রী কেন যে আমাদের এই দুর্ভোগে ফেললেন। তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাড়িতে আটকে থাকার জন্য অনেকেরই আমার ওপর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমি আপনাদের কষ্ট বুঝতে পারছি, তবে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার আর কোনো উপায় ছিল না। এটি জীবন-মৃত্যুর লড়াই। আমাদের এ লড়াইয়ে জিততে হবে।’
গত মঙ্গলবার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা তহবিল ঘোষণা করে ভারত সরকার। দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনা মূল্য খাবার ও অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। তবে এই অর্থের বিতরণ কতটুকু ন্যায্যভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন বেড়ে ৯৭৯। মারা গেছে ২৫ জন।