কলকাতার মেট্রোরেলের শিয়ালদহ-সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মধ্যে নবনির্মিত রেলপথের উদ্বোধন হলো আজ বিকেলে। উদ্বোধন করলেন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী। এই রেলপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একেবারে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে তিনিসহ দলের কেউ এ অনুষ্ঠানে যাননি।
স্মৃতি ইরানী আজ হাওড়া ময়দান স্টেশন থেকে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন এই রেলপথের। রেলপথের উদ্বোধন করে স্মৃতি ইরানী বলেন, ‘সল্টলেকে আমার দাদুর বাড়ি। তাই এটা আমার কাছে আজ গর্বের হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি আজ আরও গর্বিত আমার দাদুর বাড়ির এলাকায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন করতে পেরে। সত্যিই আমার খুব ভালো লাগছে এই ভেবে, বাগজী বাড়ির ছোট মেয়েটা ফিতা কেটে এই রেলপথের উদ্বোধন করেছে ভেবে।’
এর আগে আগে অবশ্য ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পথেরও উদ্বোধন করা হয়। ফলে আজ উদ্বোধন করা হয় শিয়ালদহ থেকে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত রেলপথের। অদূর ভবিষ্যতে উদ্বোধন হবে এই সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত নদীর তলদেশ থেকে নেওয়া মেট্রো রেলপথের। বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেন চলবে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। তারপর অদূর ভবিষ্যতে চলবে সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত।
এদিকে এই রেলপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারসহ শাসক দলের নেতারা। এরপরই গতকাল রেল কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আমন্ত্রণ জানায় পরিবহনমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্থানীয় বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বর্ণকমল সাহা ও পরেশ পালকে। কিন্তু তাঁরা কেউ আজ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।
এই রেলপথ তৈরির মূল পরিকল্পনা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই মেট্রো রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেন। এই রেলপথ তৈরির জন্য রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে। কিন্তু এই রেলপথ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আর আমন্ত্রণ পেলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা মেট্রো বা পাতালরেলের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে। প্রথম তৈরি হয় ধর্মতলা থেকে ভবানীপুর (বর্তমান নেতাজি ভবন) পর্যন্ত রেলপথ। ১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর প্রথম এই পথের মেট্রোরেলের উদ্বোধন হয়।