সাত মাস পর এত সংক্রমণ দেখল ভারত

এক সপ্তাহ ধরে ভারতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
ছবি: রয়টার্স

ভারতে আজ শনিবার নতুন করে ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সাত মাসের বেশি সময় পর দেশটির সংক্রমণ ১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল। দেশটিতে করোনার নতুন ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতের ২৭টি রাজ্যে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ গত বছরের ৩০ মে ১ লাখ ৫৩ হাজার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। এরপর সংক্রমণ কমতে শুরু করে। মাত্র ১০ দিন আগে ভারতে দৈনিক আক্রান্ত ছিল ১০ হাজার। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো গতকাল শুক্রবার ভারতে দৈনিক শনাক্ত লাখ ছাড়ায়। দেশটিতে গতকাল ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এক দিনের ব্যবধানে আজ করোনা শনাক্ত দেড় লাখের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ শনাক্তের হার ৯ দশমিক ২৮। এ ছাড়া বিগত এক সপ্তাহে শনাক্ত ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

আজ আরও ৬৪ জনের অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে অমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তি দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮৭৬ জন মহারাষ্ট্রে। দিল্লি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৩ জন। ভারতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১ হাজার ২০৩ জন সুস্থ বা স্থানান্তরিত হয়েছেন।

করোনার মহামারিতে ভারতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর একটি মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৯২৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ৯৭১ জন মুম্বাইয়ের। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে বলেছেন, মুম্বাই লকডাউন করা হবে কি না, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।

গতকালের তুলনায় আজ দিল্লিতে করোনা শনাক্ত ১৫ শতাংশ বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ১৭ হাজার ৩৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়ে। এই সময়ে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নয়জন করোনায় মারা গেছেন। বুধবার দিল্লিতে প্রায় আট মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৬৬৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২৮৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গত কয়েক মাসে কেরালার ১৮৯ মৃত্যু যোগ করা হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গতকাল জারি করা নতুন এক আদেশে বলেছে, বিদেশ থেকে ভারতে আসা সব যাত্রীকে এবার থেকে বাধ্যতামূলক সাত দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনসহ ইউরোপের সব দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বতসোয়ানা, চীন, ঘানা, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, তানজানিয়া, হংকং, ইসরায়েল, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, কাজাখস্তান, কেনিয়া, নাইজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও জাম্বিয়ার নাম।