সোনিয়া-রাহুল সুপ্রিম কোর্টে

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। দিল্লির নিম্ন আদালতে হাজিরার নির্দেশ এবং এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টের মন্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁদের এই আবেদন। এই মামলায় নিম্ন আদালতে সোনিয়া-রাহুলকে এই মাসের ২০ তারিখে আবার হাজিরা দিতে হবে।


ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার শেয়ার হাতবদল করার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেন বিজেপি নেতা সুব্রক্ষ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলা গ্রহণ করে নিম্ন আদালত গত ১৯ নভেম্বর সোনিয়া ও রাহুলসহ কংগ্রেসের অন্য নেতাদেরও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সোনিয়া হাইকোর্টে গেলেও উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দেন। শুধু তাই নয়, হাইকোর্ট এই মন্তব্যও করেছিল যে শেয়ার হাতবদলের মধ্যে অপরাধের গন্ধ আছে। আবেদন খারিজ হওয়ায় দলের প্রথম সারির নেতাদের নিয়ে সোনিয়া-রাহুলরা নিম্ন আদালতে হাজিরা দিয়ে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি পান। পরবর্তী হাজিরা ২০ ফেব্রুয়ারি। তারই বিরুদ্ধে সোনিয়া-রাহুলের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়া।

সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে সোনিয়া বলেছেন, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নাল লিমিটেডের (এজেএল) শেয়ার ইয়ং ইন্ডিয়া কোম্পানিতে ট্রান্সফার করা যে কোনো অপরাধ ছিল না, হাইকোর্ট তা বুঝতে পারেনি। তা ছাড়া উচ্চ আদালত এই মামলা শোনার সময় এমন কিছু মন্তব্য করেন যা অনভিপ্রেত। তবে এই আবেদনের শুনানি কবে হবে সে বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট কিছু বলেননি।

ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিলেন জওহরলাল নেহরু ১৯৩৬ সালে। এজেএল কোম্পানি থেকে এই সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। পরবর্তীতে এই কোম্পানিকে বাঁচাতে কংগ্রেস তার দলীয় তহবিল থেকে ৯০কোটি রুপি বিনা সুদে ঋণ দেয়। ২০০৮ সালে সোনিয়া গান্ধী এই সংবাদপত্র একেবারেই বন্ধ করে দেন। তার পর এজেএলের সমস্ত শেয়ার ইয়ং ইন্ডিয়া নামে অন্য এক কোম্পানিতে বদল করা হয়। এই কোম্পানির ৭৬ শতাংশ শেয়ার সোনিয়া ও রাহুলের নামে। সুব্রক্ষ্মণ্যমের স্বামীর দাবি, দিল্লিসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এজেএলের সম্পত্তির পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি রুপিরও বেশি।