ঐতিহাসিক সম্মেলনের আগে ইসরায়েলে আইএসের হামলা, নিহত ২
আরব বিশ্বের চার দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক সম্মেলনের বৈঠক শুরুর আগে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় একটি শহরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি এবং ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকটি ছিল ইসরায়েলের মাটিতে আরব বিশ্বের চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বৈঠক। এতে আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেন। দেশগুলোর মধ্যে মিসর ১৯৭৯ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সবশেষ ২০২০ সালে বাকি ৩টি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখা শুরু করে।
ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমির একটি স্থানে বৈঠকের আগে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এক হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
এদিকে কূটনৈতিক তৎপরতার মধ্যেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। আজ সোমবার তাঁর করোনা শনাক্তের খবর জানায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এই খবর প্রকাশের আগেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মাস্ক ছাড়াই যৌথ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বেনেত।
বেনেতের করোনা শনাক্ত হওয়ার খবরে সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলছে, বৈঠকে অংশ নেওয়া মার্কিন প্রতিনিধিদলের মধ্যে একমাত্র ব্লিঙ্কেনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সংস্পর্শে এসেছেন।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জোরালো ভূমিকা না রাখায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ অসন্তুষ্ট। এমনকি ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এর পরিবর্তে দ্বিমুখী নীতি গ্রহণ করায় তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের চালানো অপরাধকে গুরুত্ব না দিয়ে রাশিয়াকে শাস্তি দিতে তৎপর।
মাহমুদ আব্বাস মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের জাতিগত নির্মূল ও বর্ণবৈষম্যের মাধ্যমে অপরাধ করছে। কিন্তু এ ঘটনায় কেউ ইসরায়েলের কোনো অপরাধ দেখছে না। মনে হচ্ছে ইসরায়েল এমন একটা রাষ্ট্র, যারা সব ধরনের আইনের ঊর্ধ্বে।