গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে
ছবি: রয়টার্স

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শনিবার এই বিমান হামলা চালানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের জের ধরে ইসরায়েলি বিমান থেকে গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে খবরে জানানো হয়। সীমান্ত সংঘর্ষ চলাকালে গুলির ঘটনাও ঘটে।

গতকালের গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত সংঘর্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ইসরায়েলের এক সেনা গুরুতরভাবে আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গুরুতর আহত দুই ফিলিস্তিনির মধ্যে ১৩ বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তার মাথায় গুলি লেগেছে। এ ছাড়া অন্য যারা আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে অনেকের হাত, পা, পিঠ ও পেটে গুলি লেগেছে।

ইসরায়েল জানিয়েছে, সীমান্ত সংঘর্ষে গুরুতর আহত সেনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত মে মাসে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে সংঘাত চরম রূপ ধারণ করেছিল। ১১ দিনের ওই সংঘাতে অন্তত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আর ইসরায়েলের পক্ষে নিহত হয় ১৩ জন। পরে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ওই সংঘাত থামে।

জেরুজালেমের সমর্থনে গতকাল হামাসসহ অন্যরা ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শত শত ফিলিস্তিনি সুরক্ষিত সীমানার কাছে জড়ো হয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কেউ কেউ সীমান্ত বেড়া অতিক্রম করার চেষ্টা করে। আবার কেউ কেউ ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ছুড়ে মারে। ইসরায়েলি সেনারা তার জবাব দেয়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, সীমান্তে সহিংসতার জবাবে তারা গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়। হামাসের অস্ত্র সংরক্ষণ ও উৎপাদনের চারটি স্থানে এই বিমান হামলা চালানো হয়।

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

হামাসের মুখপাত্র ফাওজি বারহুম বলেন, ইসরায়েল যে তার ব্যর্থতা ও হতাশা ঢাকার চেষ্টা করছে, গতকালের বিমান হামলা সেটাই প্রমাণ করে।