গাজা থেকে পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিল ইসরায়েল

রপ্তানির জন্য কাপড়ের চালান নিয়ে ফিলিস্তিনি সীমান্তে অপেক্ষা করছে একটি ট্রাক। ২১ জুন, রাফার কেরেম শালোম তল্লাশিচৌকি।
ছবি: রয়টার্স

অধিকৃত গাজা উপত্যকা থেকে সীমিত পরিসরে বাণিজ্যিক পণ্য রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। তবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত। এর মধ্য দিয়ে ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের প্রায় এক মাস পর গতকাল সোমবার গাজা থেকে পণ্য রপ্তানির পথ খুলেছে।  
মে মাসের সংঘাতের পর থেকে হামাসের প্রতি কড়া বার্তা দিতে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ইসরায়েল। এতে মিসরের সমর্থন পায় দেশটি। ফলে ইসরায়েলের বিধিনিষেধে গাজা থেকে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য রপ্তানি।

এখন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলমান অস্ত্রবিরতি চুক্তি মেনে চলার শর্তে সোমবার সকাল থেকে সীমিত পরিসরে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের সরকার। তবে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলে তা আবার বাতিল করা হতে পারে।

গাজার সীমান্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে কৃষিপণ্য ও কাপড় রপ্তানি করতে পারবেন গাজার রপ্তানিকারকেরা। তবে জাতিসংঘের মধ্যস্থতাকারী টর উয়েনসল্যান্ডের সঙ্গে বৈঠকে হামাস নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার বলেছেন, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে যতটুকু বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে, সেটা পর্যাপ্ত নয়।

আরও পড়ুন

এদিকে ২০১৪ সালের ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে নিহত সৈন্যদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে গত রোববার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত। এ সময় তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আবার লড়াই শুরুর চেষ্টা করা হলে তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না ইসরায়েল।
উল্লেখ্য, মে মাসে টানা ১১ দিন ধরে গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৬৬ শিশুসহ আড়াই শর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন। বিধ্বস্ত হয় অনেক ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা। পরে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হয় ইসরায়েল।

আরও পড়ুন

তবে যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে দুই দফায় গাজা উপত্যকা ও উত্তরাঞ্চলীয় বেইত লাহিয়া শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, ফিলিস্তিনিদের ছোড়া গ্যাসীয় বেলুনে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের আটটি স্থানে আগুন লাগে। এর জবাবে হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

এমনকি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। মিছিল শুরুর আগেই ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হন সাংবাদিকসহ অন্তত তিনজন।