আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধ, কী বলছে পাকিস্তান

আর্মেনিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত আজারবাইজানের সামরিক যান
ছবি: রয়টার্স

আজারবাইজানের পক্ষে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পাকিস্তানের সেনাসদস্যরা—     ভারতের সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। আজ শুক্রবার এ সংবাদকে অনুমানমূলক ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ  চৌধুরী এক বিবৃতিতে এসব প্রতিবেদনকে দায়িত্বহীন বলে অভিহিত করেছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমসনাউইন্ডিয়াসহ কয়েকটি গণমাধ্যম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজারবাইজানের পক্ষে যুদ্ধ করতে সেনা পাঠিয়েছেন। পাকিস্তানের সেনারা আজারবাইজানের আগদাম এলাকায় আজারবাইজান বাহিনী ও তুর্কি বাহিনীর সঙ্গে থেকে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।  

টাইমসনাউইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আগদামের দুই বাসিন্দার একটি টেলিফোন বার্তা উদ্ধৃত করা হয়। ওই টেলিফোন বার্তায় একজন আরেক জনকে বলতে শোনা যায়, তাদের অঞ্চলে পাকিস্তানের সেনারা রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এই যুদ্ধে তার দেশকে সমর্থন দেওয়ার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান, তুরস্ক ও আফগানিস্তানকে ধন্যবাদ জানান। ওই ধন্যবাদ বার্তায় আলিয়েভ বলেছিলেন, আফগানিস্তান ও তুরস্ক সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও আজারবাইজান বাহিনীর অন্য কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

দুই পক্ষের লড়াইয়ে বিধ্বস্ত বাড়ি। আগদাম, আজারবাইজান, ২ অক্টোবর
ছবি: রয়টার্স

বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে নিরাপত্তার অবনতির বিষয়ে ইসলামাবাদ গভীর উদ্বিগ্ন। আজারবাইজানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আর্মেনিয়ার বাহিনীর অনবরত গোলাবর্ষণের বিষয়টি নিন্দনীয় ও সবচেয়ে দুঃখজনক। আর্মেনিয়ার উচিত এখনই তাদের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করা।

জাহিদ হাফিজ চৌধুরী আরও বলেন, নাগোরনো-কারাবাখে আজারবাইজান বাহিনীর অবস্থান পাকিস্তান সমর্থন করছে। কারণ এ অবস্থান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তবে পাকিস্তানের সেনারা সেখানে গিয়েছেন এ তথ্য তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।

নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে গত রোববার থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ লড়াই চলছে। এ পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকসহ শতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন। চলমান যুদ্ধের জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে।