আফগানিস্তানের জন্য পাকিস্তানকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র: ইমরান

ইমরান খান
ফাইল ছবি

আফগানিস্তান থেকে চূড়ান্ত ধাপে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর দেশটিতে সংঘাত বেড়েছে। ক্ষমতা দখলে মরিয়া তালেবানের সঙ্গে আফগান সেনাসদস্যদের সংঘর্ষে কারণে সেখানে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানিস্তানের এ ‘বিশৃঙ্খলা’ সামলাতেই তার দেশকে পাশে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান খান বলেন, ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে সামরিক সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল আসেনি। এখন বিশৃঙ্খলা সামলানোর জন্য পাকিস্তানকে দরকার বলে মনে করা হচ্ছে।
আফগানিস্তানে বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তান কোনো পক্ষেই অবস্থান নেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন ইমরান। তাঁর ভাষ্য, এ মুহূর্তে দেশটিতে রাজনৈতিক সমাধান খুবই কঠিন।

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ঘোষণার পর থেকে আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকা দখল করছে তালেবান। তারা গতকাল বুধবার দেশটির আরও একটি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিয়েছে। সব মিলে মাত্র ছয় দিনে ১০টি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করেছে তালেবান। তালেবানের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দারা সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে। তাঁরা বলছেন, রাজধানী কাবুলকে ৩০ দিনের মধ্যে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে তালেবান। ৯০ দিনের মধ্যে তালেবানের হাতে কাবুলের পতন ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

আফগানিস্তানে চলমান সহিংসতার কারণে থমকে রয়েছে দেশটির সরকার ও তালেবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনা। এই তালেবানের ওপর পাকিস্তান সরকারের প্রভাব রয়েছে। আফগান সরকার ও তালেবান দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা এগিয়ে নিতে ওই প্রভাব কাজে লাগানোর জন্য পাকিস্তানের ওপর চাপ দিয়ে আসছে মার্কিন সরকার।

পাকিস্তানের সমর্থনের কারণেই আফগানিস্তানে তালেবানের এই শক্তি প্রদর্শন বলে অভিযোগ এনেছে আফগানিস্তানসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও তালেবান সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে লম্বা সময় ধরে। যদিও তালেবানের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পাকিস্তান।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল। এ সময় তালেবানের সঙ্গে বসেন আফগান সরকারের কয়েকজন মধ্যস্থতাকারী। তবে এ আলোচনা আলোর মুখ দেখেনি; বরং সাম্প্রতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।