পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রীকে মারধরের পর গ্রেপ্তারের অভিযোগ

শিরিন মাজারি
ফাইল ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের মানবাধিকারবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী শিরিন মাজারিকে গতকাল শনিবার মারধর করে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। শিরিন মাজারির মেয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন শিরিন। গত মাসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। ইমরান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীর সমালোচনা করছিলেন শিরিন।

ঠিক কী অভিযোগে শিরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জমিজমাসংক্রান্ত কারণে এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ ব্যাপারে চলতি বছরের মার্চে একটি মামলা হয়।

শিরিনের মেয়ে ইমান জয়নাব মাজারি টুইট করে তাঁর মাকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন। তাঁর ভাষ্যমতে, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার কর্মকর্তারা তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করেছেন।

ইমান লেখেন, পুলিশের পুরুষ কর্মকর্তারা তাঁর মাকে মারধর করেছেন। তাঁরা তাঁর মাকে তুলে নিয়ে গেছেন। তাঁকে শুধু বলা হয়েছে, লাহোরের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁর মাকে নিয়ে গেছে।

দুর্নীতি দমন সংস্থার (এসিই) কর্মকর্তারা ডনকে নিশ্চিত করেছে যে শিরিনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পালনকারী শাহবাজ গিল পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীদের ইসলামাবাদের কোহসার থানায় যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এই থানায় শিরিন আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

পিটিআইয়ের নেতারা বলেন, রাজনৈতিক কারণে শিরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিরিন গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিলেন, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের সময় দেশটির সেনাবাহিনী ‘নিরপেক্ষ’ ছিল।

৬৯ বছর বয়সী ইমরানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় বলে দাবি পিটিআইয়ের। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে বলে পিটিআইয়ের ভাষ্য।

তবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইমরানের সরকারকে রক্ষার জন্য কিছু না করায় পিটিআইয়ের নেতা-কর্মীরা দেশটির সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে আসছেন।