রাওয়ালপিন্ডিতে এখন এক কাপ চা ৪০ রুপি

কোথাও এক কাপ চায়ের দাম ৪৫ রুপি পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।

অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে পাকিস্তান। দেশটির মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ডপর্যায়ে পৌছেছে। এতে বেড়েছে চিনি, গ্যাস, চা–পাতার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তাই আগের দামে আর চা বিক্রি করা যাচ্ছে না। এ জন্য চা–বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। তবে দামটা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেও নেই। পাকিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম শহর রাওয়ালপিন্ডিতে এক কাপ চা বিক্রি হচ্ছে ৪০ রুপিতে। খবর দেশটির দৈনিক ডনের।

কিছু ক্যাফেটেরিয়া ও রেস্তোরাঁয় এক কাপ চায়ের দাম ৪৫ রুপি পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। কিয়স্ক এলাকার এক চা-বিক্রেতা জানান, চা-পাতা, টি–ব্যাগ, দুধ, চিনি ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক কাপ চায়ের দাম ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ রুপি করা হয়েছে। এ কারণে অনেকে চা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। আবার অনেকে চা খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভাবছেন।  

কিয়স্কের ওই চা-বিক্রেতা আরও বলেন, চা-বিক্রেতাদের চায়ের দামবৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত যৌক্তিক। কারণ, সব কিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে, এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে হলে চায়ের দাম বাড়াতেই হতো। তাঁর দাবি, প্রতি লিটার দুধের দাম ১০৫ থেকে বেড়ে ১২০ রুপি হয়েছে। খোলা চা–পাতার দাম কেজিতে ১০০ বেড়ে হয়েছে ৯০০ রুপি। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এক সিলিন্ডার তরলীকৃত গ্যাস ১ হাজার ৫০০ রুপিতে পাওয়া গেলেও এখন তা ৩ হাজার রুপি।

ওই চা–বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের আয়–উপার্জন আগের চেয়ে অনেক কমেছে। এ কারণে চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’

আবদুল আজিজ নামের আরেক চা–বিক্রেতার দাবি, ‘এক দিনে মোট ২ হাজার ৬০০ রুপির চা বিক্রি করি। কিন্তু দিনশেষে যখন হিসাব করি, তখন দেখি এর মধ্যে আমার মুনাফা থাকে মাত্র ১৫ রুপি।’ তিনি বলেন, লাভের আশায় ব্যবসা করেন তাঁরা। কিন্তু পরিস্থিতি এখন এমন যে এক কাপ চায়ের দাম বাড়ানো ছাড়া তাঁদের কোনো উপায় ছিল না।

তবে চায়ের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে ছোট চায়ের দোকানগুলোতে। নিয়মিত যাঁরা এসব দোকানগুলোতে চা খেতেন, তাঁরা চা খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, আগে দিনে যাঁরা চার কাপ চা খেতেন, এখন খাচ্ছেন তিন কাপ। আবার অনেকে চা খাওয়া ছেড়ে দেবেন বলেও ভাবছেন।