অ্যাসাঞ্জের 'আটক বেআইনি'
বিশ্বজুড়ে গোপন নথি প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ‘বেআইনিভাবে আটক’ করা হয়েছে বলে মত দিয়েছে জাতিসংঘের একটি প্যানেল। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
২০১০ সালে সুইডেন ভ্রমণের সময় দুই নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলায় দেশটির আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আছেন অ্যাসাঞ্জ।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সম্পর্কে মত দেওয়া জাতিসংঘের ওই প্যানেল মূলত বিভিন্ন দেশে লোকজনকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার ঘটনা তদন্ত করে থাকে। এ প্যানেলের কাছে অভিযোগ করেছিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দূতাবাস থেকে বের হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করবে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। দেশটির পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ‘জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যদি ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসে তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমাদের।’
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্যানেল তাদের তদন্তের ওই ফল পরে প্রকাশ করবে। তবে জাতিসংঘ প্যানেলের ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যে বা সুইডেন কর্তৃপক্ষকে মানতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই।
২০১০ সালে আড়াই লাখ মার্কিন কূটনৈতিক তারবার্তা ও পাঁচ লাখ সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টি করে উইকিলিকস। অ্যাসাঞ্জের ভয়, তিনি সুইডেনে আদালতের মুখোমুখি হলে তাঁকে আসলে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ নথি ফাঁস করার অভিযোগে তাঁকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
আরও পড়ুন...