আদালত অবমাননা, ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা গুনলেন ট্রাম্প

ডোনাল ট্রাম্প
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

তদন্তে যথাযথ সহযোগিতা না করায় নিউইয়র্কের আদালতের ধার্যকৃত জরিমানা পরিশোধ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিয়েছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের এক মুখপাত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল–জাজিরা ও সিএনএনের।

নিউইয়র্কের তদন্তকাজে যথাযথ সহযোগিতা না করায় গত মাসে ট্রাম্পকে আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এ আদেশ প্রত্যাহারে ট্রাম্পকে যে প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে, তার একটি ছিল জরিমানা পরিশোধ।

গতকাল নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমসের কার্যালয় থেকে বলা হয়, বৃহস্পতিবার জরিমানা পরিশোধ করেছেন ট্রাম্প। তবে আদালতের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য আরও কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে তাঁকে।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে ব্যাংক ও কর কর্তৃপক্ষকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে ওই তদন্ত চলছে। ট্রাম্পের কাছ থেকে এ–সংক্রান্ত নথি চেয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে আদালতে তলব করা হয়েছিল। তবে তিনি তাতে সাড়া দেননি। এমন অবস্থায় আদালত অবমাননার কারণে গত ২৫ এপ্রিল ট্রাম্পকে জরিমানা করেন নিউইয়র্কের বিচারপতি আর্থার এনগোরোন।

তদন্তের জন্য নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিটিয়া জেমস ট্রাম্পের কাছ থেকে যেসব নথি চেয়েছিলেন তিনি সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সঙ্গে তা খুঁজে দেখেছিলেন কি না, তা স্পষ্ট না হওয়ায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়। ট্রাম্পকে প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে দিতে বলা হয়।

নথিগুলো খোঁজা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার পর গত সপ্তাহে শর্তসাপেক্ষে আদালত অবমাননাজনিত আদেশ প্রত্যাহার করেন এনগোরোন। জরিমানাও স্থগিত করা হয়। তবে এত দিন যে পরিমাণ জরিমানা হয়েছে, সেগুলো যদি ২০ মের মধ্যে ট্রাম্প পরিশোধ করতে না পারেন, তাহলে সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে আবারও জরিমানা করা শুরু হবে বলে জানান বিচারপতি।

এনগোরোন বলেন, ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নথি ধারণ ও ধ্বংস–সংক্রান্ত নীতিমালার ব্যাপারে হলফনামা চাচ্ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একটি গুদামে রাখা পাঁচটি বাক্সের পর্যালোচনামূলক তথ্য জানতে চেয়েছেন, যেগুলো ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কিত।

বৃহস্পতিবার জরিমানা পরিশোধ করলেও আদালত অবমাননার দায় থেকে ট্রাম্পকে আরও যে শর্ত পূরণ করতে হবে, তা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মেটাতে পারেননি তিনি। নথি ধারণ ও ধ্বংসজনিত নীতিমালার বিস্তারিত উল্লেখ করে অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে হবে তাঁকে।

এ ব্যাপারে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের আইনজীবী অ্যালিনা হাব্বার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি।