আফগান ইস্যুতে কংগ্রেসের শুনানিতে ব্লিংকেনের পদত্যাগ দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন
ফাইল ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কংগ্রেসের শুনানিতে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে অন্তত দুজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনকে পদত্যাগের আহ্বান জানান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রায় পাঁচ ঘণ্টার শুনানিকালে ব্লিংকেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখান। এ সময় তিনি বলেন, আমেরিকান ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও কিছু করা উচিত ছিল। পরিকল্পনার অভাবের জন্য তিনি পূর্ববর্তী প্রশাসনকে দায়ী করেন।

ব্লিংকেন শুনানিতে বারবার বলেন, সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এ কারণে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে পুনরায় আলোচনা করার সুযোগ ছিল না। কারণ, চুক্তির হেরফের হলে আফগানিস্তানে অবস্থানরত আমেরিকানদের ফের হত্যা শুরুর হুমকি দিয়েছিল তালেবান।

ব্লিংকেন আরও বলেন, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান দীর্ঘায়িত করলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকার আরও বেশি স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠত—এমন কোনো প্রমাণ নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সীমা পাই। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা পাইনি।’

এ প্রসঙ্গে ব্লিংকেন উল্লেখ করেন, পূর্ববর্তী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০২১ সালের ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি করেছিল।

ব্লিংকেন গতকাল প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সামনে হাজির হন। তিনি আজ মঙ্গলবার সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেবেন।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সামনে প্রকাশ্য শুনানিতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিলেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক কর্মকর্তা ব্লিংকেন। শুনানিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কতিপয় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনের কথা বলায় বাধা সৃষ্টি করেন। এমনকি তাঁরা চিৎকারও করেন।

প্যানেলের শীর্ষ রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল বলেন, ‘আমেরিকার মানুষ হারাতে পছন্দ করে না, বিশেষ করে সন্ত্রাসীদের কাছে। অথচ ঠিক এটাই ঘটেছে।’