রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মহামারি পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণে বিভাজিত জাতিকে আরও বিভক্ত করে দেয়। এ মহামারি মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করা কর্মী আর সাধারণ কর্মীদের মধ্যে বৈষম্যও প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।
মোটা অঙ্কের বেতনে কাজ করা কর্মীরা বাসায় থেকেও কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। অন্যদিকে মুদিদোকান, ফায়ার স্টেশন ও হাসপাতালের আবশ্যিক কর্মীদের প্রতিদিনই অন্যদের সাহায্য করার জন্য বাইরে যেতে হয়েছিল এবং তাঁদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পরিসংখ্যান–বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডো মিটারসের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৫১ কোটি ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৬ জন।
সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পরই সংক্রমণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশটিতে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার ৪১৩ জন। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৮১ জন, যা বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
সংক্রমণে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। দেশটিতে ৩ কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৬৪ জন, যা বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ ৮৫ হাজার ৫৯৪ ডোজ কোভিড টিকা দিয়েছে। প্রত্যেকের দুই ডোজ টিকা প্রয়োজন ধরে হিসাব করলে দেশটির ৮৮ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।