কানসাসে ‘জীবন্ত জীবাশ্মের’ সন্ধান

ড্যানি লি স্মিথের হাতে অ্যালিগেটর গার।
ছবি: কানসাস ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কের সৌজন্যে

মার্কিন মৎস্যশিকারি ড্যানি লি স্মিথ বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে পছন্দ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের নিওশো নদীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। বড়শিতে উঠে আসে বড়সড় একটি মাছ। ডাঙ্গায় তোলার পর দেখা যায় সেটি ‘এলিগেটর গার’ প্রজাতির মাছ। কানসাস নদীতে এ প্রজাতির মাছ এর আগে পাওয়া যায়নি।

এলিগেটর গার ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ নামে পরিচিত। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে, যেগুলো সুদূর অতীতে জন্ম নিয়ে এখনো পরিবর্তন ছাড়াই টিকে রয়েছে। কিন্তু সেটির সমসাময়িক প্রাণীরা ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এমন প্রাণীকে ‘জীবন্ত জীবাশ্ম’ বলা হয়। ইতিমধ্যে এলিগেটর গারের যেসব ফসিল খুঁজে পাওয়া গেছে, সেগুলো প্রায় ১০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

কানসাসের ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্কের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ড্যানি লি যে এলিগেটর গার মাছটি ধরেছেন, সেটি সাড়ে চার ফুট দীর্ঘ। ওজন প্রায় ১৮ কেজি।

কানসাসের জলাধারে অনেক ধরনের গার রয়েছে বলে জানান ড্যানি লি। তিনি বলেন, এর কোনোটি লম্বা নাকের, কোনোটির নাক বোঁচা। আবার কোনোটির শরীরে ছোপ ছোপ দাগ রয়েছে। তবে এখানকার নদীতে এলিগেটর গার নেই। এবারই প্রথম কানসাসের নদীতে এ মাছ পাওয়া গেল।

এ বিষয়ে ড্যানি লি বলেন, ‘পানি থেকে মাছটি তোলার পর আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। গার প্রজাতির মাছ সাধারণত জালে কিংবা বড়শিতে আটকা পড়লে লাফঝাঁপ দেয়। কিন্তু এটার আচরণ ছিল একেবারেই শান্ত। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা একটি অভিজ্ঞতা।’

ডিপার্টমেন্ট অব ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড পার্ক কানসাসে ২৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন সিয়েন ল্যানট। বর্তমানে আঞ্চলিক মৎস্য কর্মকর্তা হিসেব দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সিয়েন বলেন, ‘আমরা সত্যিই জানি না এই প্রজাতির মাছ কানসাসের জলাধারে কীভাবে এসেছে।’