কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত

কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়নে আলোচক ও শ্রোতারা
কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়নে আলোচক ও শ্রোতারা

কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএর নিয়মিত সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১০ আগস্ট সকাল ১০ টায় জ্যামাইকায় কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির কার্যালয়ে এই সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আলোচনার বিষয় ছিল-‘জ্ঞান অর্জনে যেকোনো কষ্টকে আমি হাসি মুখে গ্রহণ করব’। আলোচক ছিলেন শাখার দায়িত্বশীল মীর নাহিদ মাহমুদ।
আলোচক মীর নাহিদ মাহমুদ বলেন, আজকের উপস্থিতি বিশেষভাবে প্রমাণ করে, আপনারা জ্ঞানপিপাসু। জ্ঞানার্জনের তৃষ্ণা আপনাদের মধ্যে রয়েছে। যত দিন এই জ্ঞানের তৃষ্ণা ও আগ্রহ থাকবে জীবন চলার পথ তত মসৃণ হবে। আমরা সত্য ও অসত্যের, ন্যায় ও অন্যায়ের, বিদ্যা ও অবিদ্যার পার্থক্য করতে পারব। আসলে টাকা পয়সা যে কেউ কেড়ে নিতে পারে, হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু জ্ঞান হচ্ছে এমন সম্পদ যা কেউ কখনো কেড়ে নিতে পারে না। কোয়ান্টামের সাধনাই হচ্ছে সত্যিকারের জ্ঞানের আলোয় নিজেকে আলোকিত করার সাধনা। ফাউন্ডেশনের প্রতিটি প্রোগ্রাম এই শাশ্বত ও কল্যাণকর জ্ঞানার্জনকেই তুলে ধরে।
জ্ঞানার্জনে করণীয় সম্পর্কে আলোচক বলেন, মুক্ত মন নিয়ে জানতে হবে, এ জন্য আমরা নিয়মিত কোয়ান্টাম প্রকাশনা পড়তে পারি এবং নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারি। কারণ জ্ঞান অর্জনের যে মানসিক প্রস্তুতি প্রয়োজন মেডিটেশন তার পূর্ব প্রস্তুতি করে দেয়।শেখার জানালা সব সময় উন্মুক্ত রাখতে হবে। নিজেকে আলোকিত করার জন্য, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জ্ঞানার্জনের কোনো বিকল্প নেই। জ্ঞানার্জনের জন্য তাই যেকোনো কষ্টকে হাসি মুখে গ্রহণ করতে হবে।
অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমেরিকার পাঁচটি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট ছয়টি দেশের অর্ধ শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
১৭ আগস্ট সকাল ১০টায় ৮৬-৪৭ ১৬৪ স্ট্রিট, সুইট-বি ই-তে জ্যামাইকা কোয়ান্টাম লার্নিং সেন্টার হলে পরবর্তী সাদাকায়নের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আগামী সপ্তাহে থাকছে সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা ‘বিরক্তি ও নেতিবাচকতা সাফল্য ও সুস্বাস্থ্যকে করে বাধাগ্রস্ত’।