কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত

কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়নে অনলাইন আলোচক ও শ্রোতারা
কোয়ান্টামের সাপ্তাহিক সাদাকায়নে অনলাইন আলোচক ও শ্রোতারা

কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএর নিয়মিত সাপ্তাহিক সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১২ অক্টোবর সকাল ১০ টায় জ্যামাইকায় কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটির কার্যালয়ে এই সাদাকায়ন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএর দায়িত্বশীল মো. আবদুল্লাহ ইউসুফ। এবারের আলোচনার বিষয় ছিল-‘দান সম্পদে আনে অফুরন্ত বরকত’। আলোচক ছিলেন কোয়ান্টাম মেডিটেশন সোসাইটি ইউএসএর দায়িত্বশীল ও ইয়র্ক কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহজাবিন আহমেদ।

আলোচক বলেন, দান একজন মানুষের শ্রেষ্ঠ মানবীয় গুণ। প্রকৃতির সর্বজনীন সূত্র হচ্ছে কিছু পেতে হলে আগে দিতে হবে। হাসিমুখ দেখতে হলে আগে নিজেকে হাসতে হবে। সম্মান পেতে হলে আগে অন্যকে সম্মান দিতে হবে। দান শুধু অর্থ দানের মধ্যেই সীমিত নয়, মানুষের কল্যাণে সময়, শ্রম, মেধা দানও বড় মাপের দান।

আলোচক আরও বলেন, বড় কাজ, কালজয়ী কাজ একা একা করা যায় না। অন্যদের সঙ্গে নিতে হয়। আমরা অনেক শিশুর দায়িত্ব নিতে চাই। আমরা চাই না সারা দেশে কোনো এতিম অসহায় শিশু থাকুক।

আলোচনার পাশাপাশি কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে অংশ গ্রহণকারীদের প্রত্যয়ন ভিডিও ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। অনলাইনে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমেরিকার সাতটি স্টেট, কানাডার একাধিক প্রভিন্সসহ মোট ছয়টি দেশের ৪৬ জন অতিথি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

১৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় জ্যামাইকা কোয়ান্টাম লার্নিং সেন্টার হলে (৮৬-৪৭ ১৬৪ স্ট্রিট, সুইট-বি ই) পরবর্তী সাদাকায়নের আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আগামী সপ্তাহে থাকছে কীভাবে সময়কে ফলপ্রসূভাবে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ‘সময় ও কাজের সুবিন্যাসায়ন হোক আমার অগ্রগতির ভিত্তি’।

এ ছাড়া থাকবে মনোযোগ, সচেতনতা, সৃজনশীলতা, সাফল্য, সুস্বাস্থ্য, প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া মনের ব্যায়াম-মেডিটেশন। অসুস্থ ও সমস্যা পীড়িতদের জন্য হিলিং এবং বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।