জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও মদদদাতাদের বিচার দাবি

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারি ও মদদদাতাদের বিচার দাবী
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারি ও মদদদাতাদের বিচার দাবী

‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র শাখার উদ্যোগে দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এবং বর্তমানে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ ও সহসভাপতি হারুন ভূঁইয়া।। ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সহসভাপতি মোস্তফা কামাল পাশা মানিকের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদের মিয়া।
সভায় আব্দুল হান্নান খান বলেন, ‘আমরা চার্জশিটে খোন্দকার মোশতাক, মাহবুবুল আলম চাষীসহ বেশ কয়েকজনের নাম যুক্ত করেছিলাম ঘাতকদের বিশেষ সহযোগী হিসেবে। পরে কয়েকজনের নাম বাদ দেন আদালত।’ তিনি বলেন, ‘দেশ ও প্রবাসে বর্তমানে একটি দাবি বেশ জোরালোভাবে উঠেছে। সেটি হচ্ছে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী ও মদদদাতাদের বিচার। এটি স্বাভাবিক। কারণ, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্য কারিগরদের রেহাই দেওয়ার অর্থ হবে বিচার অসম্পূর্ণ রাখা। ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে এমন নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রের বলি না হন, সে জন্যই সবকিছু উন্মোচিত হওয়া জরুরি।’
কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতি পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত হবে না।’
বঙ্গবন্ধুসহ ওই কালরাতে নিহত সবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ইমাম কাজী কায়্যুম। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য শুভ রায়ের সঞ্চালনায় মঞ্চের পাশে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সহসভাপতি আকবর হায়দার কিরণ, সাংগঠনিক সম্পাদক কানু দত্ত, প্রচার সম্পাদক মো. ফারুক, নির্বাচন কমিশনার কবি মিশুক সেলিম ও জাহেদ শরিফ, সদস্য সুজন আহমেদ প্রমুখ। সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের পক্ষে ছিলেন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, সেক্রেটারি মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, সহসভাপতি হারুন ভূঁইয়া, উপদেষ্টা কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, কোষাধ্যক্ষ আলিম খান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ফাহাদ সোলায়মান, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এম এ আওয়াল, মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক প্রমুখ। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষে ছিলেন সহসভাপতি জাফরউল্লাহ, সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মিয়া, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আলমগীর কবির, আবুল বাশার ভূঁইয়া, এ টি এম মাসুদ, নাজিমউদ্দিন, শাহাবউদ্দিন লিটন প্রমুখ।