যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকদের টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসির আজ বুধবারের খবরে জানা যায়, ফক্স নিউজ প্রাইমটাইমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, টিকা নিরাপদ। টিকায় কিছু কাজ হয়।
করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে একের পর উল্টাপাল্টা বক্তব্য ও অবস্থানের কারণে শুরু থেকেই সমালোচনার কেন্দ্রে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় থাকাকালে করোনাভাইরাসকে তিনি সাধারণ ফ্লু বলেন। অথচ ক্ষমতা ছাড়ার আগে এ বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে গোপনে টিকা নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্প।
যে বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চান না, তাঁদের আমি টিকা নিতে সুপারিশ করছি। খোলাখুলিভাবে বলছি, তাঁদের মধ্যে অনেকে আমাকে ভোট দিয়েছিলেন।ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর দেশটির সাবেক সব প্রেসিডেন্টই টিকা নিতে মার্কিনদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে ট্রাম্পকে টিকাদান নিয়ে কোনো কথা বলতে শোনা যায়নি।
ফক্স নিউজ প্রাইমটাইমকে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যে বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিতে চান না, তাঁদের আমি টিকা নিতে সুপারিশ করছি। খোলাখুলিভাবে বলছি, তাঁদের মধ্যে অনেকে আমাকে ভোট দিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা খুব কার্যকর ও নিরাপদ।
সিবিএস নিউজের সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও এক–তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান সমর্থক টিকা নেননি। রিপাবলিকানদের টিকা না নেওয়ার হার ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রক্ষণশীল দলের কিছু সমর্থকেরা টিকা নিতে অনীহা প্রকাশ করায় হতাশা ব্যক্ত করেন। এর এক দিন পরই ট্রাম্প এমন মন্তব্য করলেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামীকাল সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে আরও সরব ভূমিকা রাখতে চান, তাহলে আমরা তাঁকে সমর্থন জানাব।’ তিনি আরও বলেন, সাবেক সব প্রেসিডেন্টই টিকাদানে জনগণকে উৎসাহিত করার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের এমন কাজ করার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতে হয়নি।