যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে তাঁর পক্ষের লোকজন এতটাই বিব্রত যে তাঁকে নিয়ে টিভি শোতে আলোচনার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেলগুলোয় রোববারের রাজনৈতিক আলোচনা ও অনুষ্ঠানগুলো বিখ্যাত।

কিন্তু গতকাল রোববার গুরুত্বপূর্ণ কোনো টিভি অনুষ্ঠানে প্রভাবশালী রিপাবলিকান এমনকি হোয়াইট হাউস থেকেও কাউকে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

নানা কারণে বৈরী আরেকটি সপ্তাহ কাটিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এনবিসি টেলিভিশনের ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে কোনো রিপাবলিকান নেতাকে আনতে পারেননি উপস্থাপক চাক টড।

জনপ্রিয় রাজনৈতিক ভাষ্যকার চাক টড বলেছেন, হোয়াইট হাউসের কোনো কর্মকর্তা, এমনকি প্রেস সেক্রেটারিকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। হয় তাঁরা এড়িয়ে গেছেন, না হয় তাঁরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে অনিচ্ছুক বলেছেন।

এবিসি টিভিতে জর্জ স্টেনোপোলিসের ‘দিস উইক’ অনুষ্ঠানটি এই সপ্তাহে পরিচালনা করছেন মার্থা রেড্ডার্টজ। মার্থা জানান, আমন্ত্রণ জানানোর পরও হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর অনুষ্ঠানে কোনো অতিথি পাঠাতে অস্বীকার করা হয়েছে। উপরন্তু, বাইরের একজনকে অনুষ্ঠানে ডাকার জন্য হোয়াইট হাউস থেকে সুপারিশ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে ভার্জিনিয়ায় বর্ণবিদ্বেষী সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া বিবৃতির পর থেকে তোপের মুখে পড়েছেন মার্থা। প্রথম দফা দেওয়া বিবৃতিতে তিনি হামলার জন্য শ্বেতাঙ্গ চরমপন্থীদের দায়ী না করে দুই পক্ষকে দায়ী করেছিলেন। খোদ রিপাবলিকানসহ উদারনৈতিক আমেরিকানদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তিন দিন পর আবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নাৎসি ও শ্বেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদারদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া আন্দোলনকারীদের মধ্যে দুই পক্ষেই কয়েকজন ভালো লোক আছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রে উসকে ওঠা চাপা বর্ণবৈষম্য নিয়ে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। হোয়াইট হাউসের অস্থিরতার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য সপ্তাহটি আরও খারাপ গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের প্রধান কৌশলবিদ স্টিফেন ব্যাননের হোয়াইট হাউস থেকে হঠাৎ সরে যাওয়া নিয়েও ট্রাম্পের সমর্থকেরা বিব্রত।

এই সপ্তাহের শেষে মনে হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই নিজেকে সমর্থন করে বলার পরিবর্তে তাঁর পক্ষে যেন সাফাই গাওয়ার কোথাও কেউ নেই!