তৃতীয় ডোজে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি, অনুমোদন চাইবে ফাইজার
করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ডোজ দিতে হবে কি না, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। এ তৃতীয় ডোজ দিতে হলে কবে নাগাদ দিতে হবে, তা-ও ছিল আলোচনায়। এই পরিস্থিতিতে টিকার তৃতীয় ডোজের অনুমোদন চাইবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ফাইজার। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এই তৃতীয় ডোজের অনুমোদন চাইবে তারা। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের টিকা ফাইজার ও জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক মিলে তৈরি করা করোনার টিকা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই প্রয়োগ করা হচ্ছে। করোনার টিকা হিসেবে অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম এই টিকা।
ফাইজারের তৃতীয় ডোজ টিকা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। জানা গেছে, ফাইজার বায়োএনটেকের টিকার তৃতীয় ডোজ করোনার মূল ভেরিয়েন্ট, বেটা ভেরিয়েন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি করছে। করোনার টিকার দুই ডোজ দিলে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তার চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তৃতীয় ডোজে।
এর আগে বলা হয়েছিল, করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে ফাইজারের টিকা। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের তৈরি তৃতীয় ডোজও এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে। এ ছাড়া এই ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে বিশেষ টিকা তৈরির কাজও চলছে বলে জানিয়েছে তারা। জার্মানিতে সেই টিকা তৈরি হচ্ছে।
ফাইজার ও বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন হবে। এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে, টিকার দুই ডোজ বা পূর্ণাঙ্গ টিকা নেওয়ার পর ছয় মাস পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সুরক্ষা পাওয়া যায়। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টিকার কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।
ফাইজারের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব এসব তথ্য জার্নালে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ও ইউরোপীয় মেডিসিনস এজেন্সির (ইএমএ) কাছে এসব তথ্য উপস্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে আগস্ট মাসে ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ শুরু হতে পারে।