নিউইয়র্কে টিকা আসছে এ মাসে
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফাইজারের উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম চালান আসছে। প্রথম দফায় এই রাজ্যের ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষকে এই টিকা দেওয়া দেওয়া হবে। আবার ডিসেম্বরের মধ্যেই আসবে টিকার দ্বিতীয় চালান। এর মধ্যে ফাইজার ও মডার্নার উৎপাদিত টিকা থাকবে। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে রাজ্যে টিকা আসছে বলে নিশ্চিত করেছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো ২ ডিসেম্বর বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অনুমোদন করার পরও নিউইয়র্কের স্বতন্ত্র একটি
বিশেষজ্ঞ দল টিকার বিষয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবে। টিকা নিয়ে সন্দেহ–সংশয় সৃষ্টি করা হয়েছে। বিরাজমান সন্দেহ দূর করার জন্যই আবার তা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করবে বিশেষজ্ঞ দল।
জনগোষ্ঠীর ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা গ্রহণ করলেই তা কার্যকর হবে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হবে বলে বলা হয়েছে। গভর্নর কুমো বলেন, শুরুতেই সামনের সারির কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে। নার্সিংহোমে থাকা লোকজন এবং বয়স্কদের যত দ্রুত সম্ভব টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রে আবার দ্রুত করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। গভর্নর কুমো বলেন, রাজ্যে এখন প্রতিদিন ৪ দশমিক ২১ শতাংশ করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। থ্যাংকসগিভিং ডে পার হয়েছে। সামনে বড়দিনের উৎসব, রয়েছে নববর্ষের উৎসব। এসব উৎসব–অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর নিউইয়র্কে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার জন্য গভর্নর কুমো বাসা–বাড়ির ছোট ছোট পার্টিকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, পুরো রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কের হাসপাতালে ৩ হাজার ৯২৪ জন করোনা সংক্রমিত রোগী ভর্তির কথা জানানো হয়েছে। এর আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৭৭৪ জন। এ দিন করোনায় নিউইয়র্কে ৬৯ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।
নিউইয়র্ক রাজ্য ও নগরজুড়ে করোনা সংক্রমণ জোন নির্ধারণ করে কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। এরপরও উৎসব ও পারিবারিক পার্টিতে যোগ দিচ্ছে মানুষ। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে সাইরেনের আওয়াজ। হাসপাতালগুলো আবার ভরে উঠেছে করোনা সংক্রমিত রোগীতে। এর মধ্যে মানুষ টিকার অপেক্ষায় আছে। আশা করছে, টিকা দেওয়া হলে শুরু সংক্রমণ কমে আসবে।