বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াশিংটন দূতাবাসের উদ্যোগে গৃহীত নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশেষ কনস্যুলার সেবার আয়োজন করা হয়েছে। ওয়াশিংটন দূতাবাসের পলিটিক্যাল মিনিস্টার দেওয়ান আলী আশরাফ ও প্রথম সচিব (পাসপোর্ট ও ভিসা) আশফাকুল নোমানসহ আরও দুজন কর্মকর্তা তিন দিনব্যাপী এই কনস্যুলার সেবা দেন।
কোভিড–১৯ মহামারির এই সময়ে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী কনস্যুলার ক্যাম্প থেকে সেবা নেন। এতে তারা ওয়াশিংটন ডি সি ভ্রমণ করার কষ্ট থেকে বেঁচে যান।
ফ্লোরিডা রাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দূতাবাসে এই বিশেষ কনস্যুলার সেবা সন্তোষ প্রকাশ করেন। দ্বৈত নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট নবায়ন, এনভিআর, নতুন পাসপোর্ট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নিসহ কনস্যুলেটের পূর্ণাঙ্গ সেবা গ্রহণ করেন সাউথ ফ্লোরিডা, ফ্লোরিডা, টেম্পা, অরল্যান্ডো, পাম বিচ এলাকার প্রবাসীরা।
প্রতি বছর ঢাকা ক্লাব অব ফ্লোরিডার উদ্যোগে কনস্যুলেট সেবা প্রদানের ধারাবাহিকতায় এবার তিন দিনের সেবায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রবাসীরা সেবা নেন।
এই বিশেষ কনস্যুলার সার্ভিস আয়োজনে দূতাবাসের দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেন ঢাকা ক্লাব অব ফ্লোরিডা, ফ্লোরিডা রাজ্য শাখা আওয়ামী লীগ, ফ্লোরিডা রাজ্য যুব মহিলা লীগ, ফ্লোরিডা মহিলা লীগ। উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র শাখা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
কনস্যুলেট সহযোগিতায় ঢাকা ক্লাব অব ফ্লোরিডার উপদেষ্টা নান্নু আহমেদ, দিনাজ খান, রানা খান, মুজিব উদ্দীন, শেখ বাবুল, প্রেসিডেন্ট মিম খান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আনোয়ারুল খান, নাইম খান, দাউদ খান, এরিনা খান, শোভন আনোয়ার, জহির ইসলাম, রায়হান আহমেদ, ফিরোজ খান, এহসান আহমেদ, মো. সেলিম, মিথুল আহমেদ প্রমুখ।
ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মিম খান বলেন, কমিউনিটির কল্যাণে ঢাকা ক্লাব অব ফ্লোরিডা সব সময় এমন কাজ করে যাবে। ঢাকা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও ফ্লোরিডায় আরটিভির প্রধান আনোয়ারুল খান বলেন, ‘আমাদের ধারণাও ছিল না, কোভিডের এই সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ রকম উপচে পড়া ভিড় হবে। প্রায় পৌনে ছয় শ প্রবাসী তিন দিনের কনস্যুলেট সেবা গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতেও ঢাকা ক্লাব প্রবাসীদের সেবা দিয়ে যাবে।