হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার
ফাইল ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন সংস্কার প্রস্তাবকে ‘পাগলামি’ বলে উল্লেখ করেছেন হোয়াইট হাউসের সাবেক উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় স্টিফেন মিলার ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের মূল কারিগর।

নথিপত্রহীন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব প্রাপ্তির পথ উন্মুক্ত করে দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। মার্কিন অভিবাসন নিয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে উদারনৈতিক আইন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে ডেমোক্রেটিক দল। এর মধ্যেই এ নিয়ে রক্ষণশীলদের বিরোধিতা শুরু হয়ে গেছে।

চরম রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ের কার উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার ২১ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটরা যে অভিবাসন আইন প্রস্তাব নিয়ে আসছে, তা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তি নষ্ট হয়ে যাবে। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত লোকজনকে দেশে আবার প্রবেশ ও নাগরিকত্ব দেওয়ার পথ উন্মুক্ত করা হচ্ছে। এটা পাগলামি।

মার্কিন অভিবাসন নিয়ে সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে উদারনৈতিক আইন প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে ডেমোক্রেটিক দল। এর মধ্যেই এ নিয়ে রক্ষণশীলদের বিরোধিতা শুরু হয়ে গেছে

স্টিফেন মিলার বলেন, এর মধ্যেই দক্ষিণের সীমান্ত নিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বাইডেন প্রশাসন। মেক্সিকোসহ এল সালভাদর, গুয়াতেমালা ও হন্ডুরাসের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের চুক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীরা ওই সব দেশে অবস্থান করে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করবে। কিন্তু জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করার পর এক আদেশের মাধ্যমে তা পরিবর্তন করেছেন।

স্টিফেন মিলার সমালোচনা করে বলেন, এখন অপরাধীরাও সহজেই সীমান্তে ভিড় করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে হুমকিতে ফেলে দেবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি নথিপত্রহীন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।