যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বই লেখকদের সময় দেওয়া বিরাট অপচয়। লেখকেরা প্রায়ই মন্দ লোক হয়ে থাকেন এবং নিজেদের ধারণার সঙ্গে মিল রেখে যা ইচ্ছা লিখে থাকেন। যেসবের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল থাকে না।
হোয়াইট হাউসে থাকা অবস্থায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার বিবরণ বইয়ে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাংবাদিক মাইকেল বেন্ডার। গত বৃহস্পতিবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে উপদেষ্টা হিসেবে কোরি লিউয়ান্ডোস্কিকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের সঙ্গে মাইক পেন্সের বাক্যবিনিময়ের বিবরণ দিয়েছেন মাইকেল বেন্ডার। এই বিবরণ অনুযায়ী কোরি লিউয়ান্ডোস্কির নিয়োগ নিয়ে পেন্সের বিরুদ্ধে অবাধ্যতার অভিযোগ আনেন এবং একটি পত্রিকা তাঁর উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারেন ট্রাম্প। এর জবাবে পেন্স একটি কাগজ পাল্টা ছুড়ে দিয়ে বলেছিলেন, এমন করেই ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারকেও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাইকেল বেন্ডারকে একজন তৃতীয় শ্রেণির সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি এ–ও দাবি করেছেন, মাইক পেন্সের সঙ্গে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মাইকেল বেন্ডার শুক্রবার সকালে এক টুইট বার্তায় নিজের দেওয়া তথ্যকে সঠিক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এসব ঘটনা যে ঘটেছে তা অন্যান্য সূত্রও নিশ্চিত করতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে আসেনি এমন আরও বহু বিষয় রয়েছে তাঁর প্রকাশিতব্য বইয়ে বলে বেন্ডার টুইট করেছেন।
এক্সিওস নামের সংবাদমাধ্যম গত মাসে জানিয়েছে, ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তত ১৭টি বইয়ের জন্য লেখক-সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার প্রদান করেছেন। এসব সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প প্রতিবারই নতুন কিছু থাকবে বলে বললেও তাঁর বক্তব্যের শুধু পুনরাবৃত্তি রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের সময়কাল নিয়ে একটি বই লিখছেন নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ম্যাগি হ্যাবারম্যান। এই বইটি আগামী বছর প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এ বইটির জন্য অনেকেই উদ্গ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাংবাদিক মাইকেল বেন্ডার, ম্যাগি হ্যাবারম্যানসহ অনেককেই বই লেখার জন্য ফ্লোরিডার মার এ লাগো রিসোর্টে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ট্রাম্প। এখন ট্রাম্পই বলছেন, এসব বইয়ে মনগড়া সব কথা লেখা হচ্ছে। বেশির ভাগ লেখককেই তিনি ‘মন্দ লোক’ বলে মনে করেন।