হীরাকে কাচের টুকরা ভেবেছিলেন তিনি

কুড়িয়ে পাওয়া হীরা হাতে কেভিন কিনার্ড
ছবি: আরকানসাস স্টেট পার্কের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ভাবনায় ছিল কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুটি কাচের টুকরা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল সেটি মূল্যবান হীরা! তা–ও আবার আকারে ৪৫ বছরের মধ্যে পাওয়া দ্বিতীয় বড় হীরা। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের ডায়ামন্ডস স্টেট পার্কে। একসময়ের হীরার খনি এই পার্কটি বর্তমানে উন্মুক্ত। দর্শনার্থীরা সেখানে ঘুরতে যান, কেউ কেউ হীরাখণ্ডের সন্ধান করেন।

আরকানসাস স্টেট পার্ক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভাগ্যবান এই ব্যক্তির নাম কেভিন কিনার্ড (৩৩)। পেশায় ব্যাংকার এই কিনার্ড ৭ সেপ্টেম্বর বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে হীরা খুঁজতে ওই পার্কে যান। এর আগেও অনেকবার তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু কখনোই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি।

পার্ক কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কিনার্ডের কুড়িয়ে পাওয়া হীরা ৯ দশমিক ০৭ ক্যারেটের। এর আগে এই পার্কে ১৯৭৫ সালে সর্বোচ্চ ১৬ ক্যারেটের হীরা পাওয়া গিয়েছিল। মজার বিষয় হলো, শুকনো জায়গায় হীরার খণ্ডটি পাওয়া যায়। এই পার্কে সাধারণত দর্শনার্থীরা জলীয় এলাকায় পাথরের টুকরার সঙ্গে থাকা হীরা খোঁজ করে থাকেন। এ জন্য কিনার্ড জলছাঁকনিও কিনেছিলেন।

কেভিন কিনার্ডের হীরা
ছবি: আরকানসাস স্টেট পার্কের ওয়েবসাইট

কিনার্ড বলেন, মার্বেল আকারের বাদামি রঙের চকচকে ওই খণ্ডটি তিনি কাচের টুকরার বেশি কিছু ভাবেননি। কিন্তু ফেলে না দিয়ে এমনিতেই ব্যাগে রেখে দেন। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি শেষে কোনো হীরা না পেয়ে বাড়ির উদ্দেশে তাঁরা পার্কের ফটকে আসেন। তখন নিজের কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসগুলো পরীক্ষার জন্য কিনার্ডের বান্ধবী পার্ক কর্মকর্তাদের দেখান। বান্ধবীর দেখাদেখি কিনার্ডও তাঁর কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসগুলো দেখান। পার্ক কর্মকর্তারাই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিনার্ড বলেন, সাধারণত তিনি কুড়িয়ে পাওয়া জিনিস কখনোই পার্কের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দেখাননি। কিন্তু এবার বান্ধবীর দেখাদেখি তিনিও দেখান। এরপর তাঁদের আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। এরপর এক কর্মকর্তা এসে তাঁকে এই সুখবর দেন।

কিনার্ড তাঁর অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘ওই কর্মকর্তা যখন বিষয়টি জানালেন, বিশ্বাস করুন, আবেগে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।’

পার্ক কর্মকর্তা দ্রু এডমন্ডস বলেন, কিনার্ডের পাওয়া হীরার খণ্ডটি বেশ বড়। এটি গোলাকার, গাঢ় বাদামি রঙের। কিনার্ড এই হীরার নাম দিয়েছেন ‘কিনার্ড ফ্রেন্ডশিপ ডায়মন্ড’। তিনি হীরা সন্ধানীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যা কিছুই খুঁজে পান, তা পার্কের কর্মীদের দেখান।’