ইরাকের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

আগামী অক্টোবরে ইরাকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য জাতিসংঘের একটি মিশনকে ৫২ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘আগামী অক্টোবরে আমরা ইরাকে নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছি।’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জো বাইডেন ও ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমি গত সোমবার একটি চুক্তি করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাক ত্যাগ করবে। তবে ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়ার কাজ অব্যাহত রাখবে তারা।

হোয়াইট হাউসে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-খাদেমির সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সোমবার বাইডেনের সঙ্গে খাদেমির বৈঠক হয়। বৈঠকে ইরাকে আর বিদেশি যুদ্ধসেনার প্রয়োজন নেই বলে অভিমত দেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাক সরকারের এক নাজুক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি হচ্ছে। তবে চুক্তিটি বাগদাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার পথও খুলে দিতে পারে। খাদেমি বর্তমানে ইরানপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আধা সামরিক গোষ্ঠীর চাপের মুখে রয়েছেন। এসব দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠী দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ভূমিকার বিরোধিতা করে আসছে।

ওভাল অফিসে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সংলাপের অংশ হিসেবে প্রথমবার মুখোমুখি বসেন বাইডেন ও খাদেমি। বৈঠক শেষে বাইডেন বলেন, ‘ইরাকে আমাদের ভূমিকা হবে ইরাকি বাহিনীকে সহায়তা, প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং আইএসের উত্থান ঠেকাতে সাহায্য করা। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ আর সেখানে কমব্যাট মিশনে থাকবে না মার্কিন সেনারা।’

ইরাকে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছেন। তাঁরা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) মোকাবিলায় স্থানীয় বাহিনীগুলোকে সহায়তা করছেন।
প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিতে ইরাকে কত মার্কিন সেনা অবস্থান করবে, সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা কিছু বলেননি। খাদেমির পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তিনি বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীর সংখ্যা কারিগরি পর্যালোচনা শেষে নির্ধারণ করা হবে।

খাদেমিকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সরকারের পক্ষ থেকে গত জুন মাসে সিরিয়া সীমান্তে মিলিশিয়াদের ওপর মার্কিন বিমান হামলার নিন্দা জানানো হয়। বলা হয়, এটা ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।

বাইডেনের সঙ্গে খাদেমির বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ইরাককে পাঁচ লাখ ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। বাইডেন বলেছেন, দুয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টিকা পৌঁছাবে।