ইসরায়েলের সঙ্গে আজ আমিরাত-বাহরাইনের চুক্তি সই

ইসরায়েলের নেতানিয়া এলাকায় উড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরায়েল ও বাহরাইনের পতাকা। ১৮ সেপ্টেম্বরের ছবিছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই করতে চলেছে দুই আরব দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।

এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এএফপির খবরে জানানো হয়, হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে আব্রাহাম অ্যাকর্ড নামের এই চুক্তিতে সই করবেন ট্রাম্প, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং উপসাগরীয় আমিরাত ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই চুক্তি নিয়ে ট্রাম্প উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে টুইট করেছেন, ‘আরেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত আজ!’

এই সমঝোতায় পৌঁছাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইসা আল খলিফার সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মনে করেন, এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

গত মাসে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আমিরাত। এরপর মুসলিম বিশ্বে এ নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

গত শনিবার হিব্রু ভাষায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, আমিরাতের মতো বাহরাইনের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক স্থাপন শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এক বিবৃতিতে বলেছে, বাহরাইন-ইসরায়েলের মধ্যকার এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের ওপর আরেকটি বিশ্বাসঘাতকতার ছুরিকাঘাত।

চুক্তির আওতায় অধিকৃত পশ্চিম তীরের আরও ভূমি দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা ইসরায়েল স্থগিত করবে বলে জানানো হয়েছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোর কারও সঙ্গেই ইসরায়েলের কূটনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও ইরানের আঞ্চলিক প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রায় সবাই ইসরায়েলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রেখেছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর মাত্র তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।