ইরানের তৈরি সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ ‘মাকরান’

ইরানের যুদ্ধজাহাজ ‘আইআরআইএস মাকরান’। নিজেদের তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বকে দেখাল তেহরান। ওমান উপসাগর, ১৪ জানুয়ারি।ছবি: রয়টার্স

ইরানের নৌবাহিনী নিজেদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ উন্মোচন করেছে। এর নাম ‘আইআরআইএস মাকরান’। ইরানের সামরিক নৌবহরের সবচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ এটি। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিল ইরান।


আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইআরআইএস মাকরান নামের এই নৌযান পাঁচটি হেলিকপ্টার বহন করতে পারে। একই সঙ্গে আরেকটি নৌযানও যুক্ত হয়েছে ইরানের নৌবহরে, সেটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম।

ইরানের তৈরি যুদ্ধজাহাজ ‘আইআরআইএস মাকরান’ পাঁচটি হেলিকপ্টার বহন করতে পারে। ওমান উপসাগর, ১৪ জানুয়ারি।
ছবি: রয়টার্স


আইআরআইএস মাকরান নামের সামরিক নৌযানটির দৈর্ঘ্যে প্রায় ২২৮ মিটার। এটি আগে ছিল তেলের একটি ট্যাংকার। পরে ইরানে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে একে যুদ্ধযানে রূপ দেওয়া হয়। মূলত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেবে নৌযানটি। এ ছাড়া বিশেষ বাহিনীর সদস্যদের রাখা ও বিভিন্ন অভিযানে পাঠানো হবে এ নৌযান থেকে। এখান থেকে দ্রুতগামী ছোট নৌযানগুলোকে বিভিন্ন কাজে পাঠানোও হবে।


রয়টার্সের খবরে বলা হয়, এক সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে আইআরআইএস মাকরানের অভিষেক হয়। ওমান সাগরে দুই দিন ধরে এই সামরিক মহড়া চলছিল। ইরানের নৌ কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল হামজেহ আলি কাভিয়ানি এই মহড়ার মুখপাত্র ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এই মহড়ার মধ্য দিয়ে আমরা নিজেদের সামর্থ্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করতে পারব এবং নিজেদের শক্তিমত্তার মাত্রা সম্পর্কেও ধারণা পাব।’

ইরানের তৈরি যুদ্ধজাহাজ ‘আইআরআইএস মাকরান’ পরিদর্শন করেন দেশটির সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আবদুলরহিম মৌসাভি। ওমান উপসাগর, ১৩ জানুয়ারি।
ছবি: রয়টার্স


ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে সব সময়ই সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব ও ইসরায়েল। এরা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে নিরাপত্তা হুমকি বলে বিবেচনা করে থাকে। বর্তমানে ২০১৫ সালের পরমাণু কর্মসূচি সীমিতকরণ চুক্তি নিয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এরই মধ্যে নতুন সামরিক নৌযানের খবর জানাল ইরান।