রুশ–মার্কিন যুদ্ধ যানের সংঘর্ষ

সিরিয়ার দেরিকে রুশ–মার্কিন সাঁজোয়া যানের সংঘর্ষ হয়
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সিরিয়ায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সাঁজোয়া যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। এই ঘটনার জন্য দেশ দুটি পরস্পরকে দায়ী করছে।


এ ঘটনার একটি ভিডিওফুটেজ রাশিয়ার ‘জাতীয়তাবাদী’ ওয়েবসাইট রুশভেসনাতে প্রকাশ করা হয়। এরপর ভিডিওটি টুইটারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বুধবার  সকালে  সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেরিক এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।  

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সিরিয়ার একটি মরুভূমিতে রুশ সেনাদের একটি সাঁজোয়া যান মার্কিন আরেকটি সাঁজোয়া যানকে আঘাত করে। এসব যানের ওপরে খুব কাছাকাছি দূরত্বে রাশিয়ার একটি হেলিকপ্টার উড়তে দেখা যায়।

রাশিয়ার দাবি, মার্কিন সেনারা সেখানে তাদের টহলে বাধা দিলে এই ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওই এলাকায় রুশ সেনাদের টহল রয়েছে—এটা আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছিল। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস নিউজে সরকারি বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, মার্কিন সেনারা গোলোযোগপূর্ণ ওই অঞ্চলে রুশ টহলে বাধা দেয়। এর মাধ্যমে তারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) মুখপাত্র জন উলাউট নিন্দা জানিয়ে বলেন, টহল শেষে মার্কিন সেনারা ওই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছিল। এমন সময় রুশ সেনারা ইচ্ছা করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। রুশ সাঁজোয়া যান যুক্তরাষ্ট্রের মাইন প্রতিরোধী বাহনে ধাক্কা দেয়। এতে মার্কিন যানে থাকা ক্রুরা আহত হন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন সামরিক সূত্র বলছে, ওই ঘটনায় চার মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। তবে তাদের আঘাত গুরুতর নয়।


জন উলাউট আরও বলেন, গত ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত রুশ-মার্কিন চুক্তিতে অনিরাপদ ও অপেশাদারমূলক কর্মকাণ্ড থেকে পরস্পর বিরত থাকার অঙ্গীকার করা হয়। কিন্তু এই আচরণের মধ্য দিয়ে রাশিয়া চুক্তি ভঙ্গ করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেরিকে প্রায় ৫০০ মার্কিন সেনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হাত থেকে ওই অঞ্চল মুক্ত রাখতে এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (এসডিএফ) পক্ষে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীকে সহায়তা করছে রাশিয়া।