সৌদি আরবের ষষ্ঠ বিশ্ব ঐতিহ্য হিমা পাথুরে শৈল্পিক এলাকা

সৌদি আরবের ‘হিমা রক–আর্ট’ বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেসকো।
ছবি: সংগৃহীত

ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় উঠল সৌদি আরবের আরও একটি নৈসর্গিক এলাকা। আজ রোববার জাতিসংঘের সংস্থাটি আরেক বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে হিমা পাথুরে শৈল্পিক এলাকার নাম ঘোষণা করে। এর আগে সৌদি আরবের আরও পাঁচটি স্থানকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইউনেসকো।

সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত হিমা শিলালিপি এলাকা। এখানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাথরশিল্প কমপ্লেক্স অবস্থিত। ইউনেসকোর ঘোষণায় বলা হয়, ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় নতুন একটি স্থান যুক্ত হলো: সাংস্কৃতিক অঞ্চল হিমা, সৌদি আরব। অভিনন্দন।’

হিমায় ৩৪টির বেশি জায়গায় পাথরশিল্প ও পাথুরে কূপ রয়েছে। প্রাচীন আরব কাফেলাদের যাত্রাপথে অবস্থিত এ এলাকা।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) খবরে বলা হয়, দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রিন্স বদর বিন আবদুল্লাহ বিন ফারহান আল সৌদ ইউনেসকোর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চল থেকে পবিত্র হজ ও ব্যবসার উদ্দেশে যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা ব্যবহার করতেন নতুন বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়া এ এলাকার পথ।

প্রাগৈতিহাসিক কালে ও এর পরবর্তী সময়ে যাঁরা এ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করেছেন, তাঁরা শিকার, বন্য প্রাণী, গাছপালা, প্রতীক ও সেই সময়ে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জামের প্রতীকী রূপ পাথরে খোদাই করে গেছেন। পাশাপাশি হাজারো শিলালিপির এক উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ সেখানে রেখে গেছেন বলে এসপিএর খবরে বলা হয়।
এলাকাটির আয়তন প্রায় ৫৫৭ বর্গকিলোমিটার (২১৫ বর্গমাইল)।

এসপিএ আরও বলছে, এখানকার পাথুরে কূপগুলো প্রায় তিন হাজার বছরের পুরোনো। সেই সময়ে এসব কূপ নজরানের বিস্তীর্ণ মরু এলাকায় সুপেয় পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কূপগুলো এখনো সুপেয় পানির জোগান দিয়ে আসছে।