১৫ বছর পর ফিলিস্তিনে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস
ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সেখানকার পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন। গত ১৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম সেখানের নির্বাচনের ঘোষণা এল। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বিভেদ, তা দূর করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। খবর এএফপির।

মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয়ের এক আদেশে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংসদীয় আসনগুলোয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২২ মে। এরপর আগামী ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে দেশের সব স্থানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেও ওই আদেশে বলা হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আব্বাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ হামাস। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য কয়েক মাস ধরে কাজ করেছি।’ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাঁদের রায় দিতে পারেন, সেই জন্য চাপ ও বাধামুক্ত একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চেয়েছে সংগঠনটি।

মাহমুদ আব্বাসের ক্ষমতাসহ দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা হচ্ছে। নির্বাচনের এই ঘোষণাকে তারই প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া এমন সময়ে এই ঘোষণা এল, যার কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। এ প্রসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজাবিষয়ক বিশ্লেষক হানি হাবিব বলেন, এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে ফিলিস্তিন এই বার্তা দিচ্ছে যে ‘আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত’।

২০০৬ সালে ফিলিস্তিনে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আকস্মিকভাবে জয়লাভ করেছিল হামাস। এর মধ্য দিয়ে আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে একধরনের রাজনৈতিক বিরোধ দেখা দেয়, যা ২০০৭ সালে আরও জটিল হয়। কারণ, ওই বছর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হামাস।

গত বছরের ডিসেম্বরে একটি মতামত জরিপ চালিয়েছে ফিলিস্তিনের সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চ। এতে দেখা যায়, আসন্ন নির্বাচনে ৩৮ শতাংশ ভোটার ফাতাহকে ভোট দিতে পারেন। এর বিপরীতে হামাসকে ভোট দিতে পারেন ৩৪ শতাংশ ভোটার।