Thank you for trying Sticky AMP!!

ইকবাল অপুর পক্ষে নেই আ.লীগের একটি পক্ষ

>

ইকবাল হোসেন

বর্তমান সাংসদের পরিবর্তে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

শরীয়তপুরে দুটি আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান দুই সাংসদ মনোনয়ন পাননি। শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জের সখীপুর থানা) আসনে সাংসদ শওকত আলীর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। ইতিমধ্যে সাংসদের সমর্থকেরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ শুরু করেছেন।

তবে এর উল্টো চিত্র শরীয়তপুর-১ (সদর ও জাজিরা) আসনে। এখানে সাংসদ বি এম মোজাম্মেল হকের সমর্থকেরা নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। তাঁরা দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর পক্ষে কাজ করছেন না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুটি আসনে মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সক্রিয় ছিল। নেতা-কর্মীরাও দুপক্ষে বিভক্ত ছিলেন। ইতিমধ্যে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়নি। তবে প্রার্থীরা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন।

গত ২৬ নভেম্বর থেকে এনামুল হক নড়িয়া ও সখীপুরের ২৪টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন। এসব সভায় নড়িয়া ও সখীপুরের আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হচ্ছেন। এ সম্পর্কে এনামুল হক বলেন, ‘নৌকা প্রতীক বিজয়ী করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। নড়িয়া-সখীপুরের নেতা-কর্মীরা এ লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছেন। এখানে দলের ভেতর কোনো বিভেদ নেই।’

নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী রাড়ি বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ সাংসদ শওকত আলীর অনুসারী। দীর্ঘ ৪০ বছর তাঁর সঙ্গে রাজনীতি করেছি। তিনি (সাংসদ) অসুস্থ। তাঁর ছেলে মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। দলের পক্ষ থেকে এনামুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনিই এখন আমাদের নেতা। আমাদের মধ্যে এখন আর বিভেদ নেই। নৌকা প্রতীক বিজয়ী করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।’

তবে শরীয়তপুর-১ আসনে সাংসদ মোজাম্মেল হকের অনুসারীরা দলের প্রার্থী ইকবাল হোসেনের পক্ষে কাজ করছেন না। এ সম্পর্কে শরীয়তপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আকন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে রাজনীতি করেছি। কিন্তু আমরাও নৌকার পক্ষে আছি। আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে। যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁর পক্ষ থেকে এখনো কোনো আহ্বান পাইনি।’

ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি চাই না আওয়ামী লীগে কোনো বিভেদ থাকুক। সব নেতা-কর্মীকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে চাই। সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু কেউ কেউ দলের ঐক্য নষ্ট করতে চান। এখনো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব।’