Thank you for trying Sticky AMP!!

অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ৫৭ শতাংশ

প্রতীকী ছবি

ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে ৪৭ হাজার ৬২৭টি জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের অধস্তন আদালত হতে বিভিন্ন মামলায় ২৭ হাজার ৪৮০ জন জামিন পেয়েছেন। এ হিসেবে জামিনের হার ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ হিসেবে গত ১১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত সময়ের, যেখানে আদালতের কার্যদিবস ছিল পনেরদিন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে ৯ মে 'আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০' শিরোনামে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। ফলে অডিও-ভিডিও বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ তৈরি হয়। অধ্যাদেশ জারির পরদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন হতে এ বিষয়ে প্রাকটিস নির্দেশনা (ব্যবহারিক দিক নির্দেশনা) প্রকাশ করা হয়। আর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কার্যক্রম শুরু হয়। যার মধ্য দিয়ে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে নতুন এক অধ্যায়ের যাত্রা শুরু হয়।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজ শনিবার প্রথম আলোকে জানান, ৩১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের অধস্তন আদালতে ১৪ হাজার ৩৪০টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। এই পাঁচ কার্যদিবসে অধস্তন আদালত থেকে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে ছয় হাজার ৫৪২ জন জামিন পেয়েছেন।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১১ মে থেকে ২৮মে পর্যন্ত দশ কার্যদিবসে সারা দেশের অধস্তন আদালতে ৩৩ হাজার ২৮৭টি জামিন আবেদনের শুনানি ও নিষ্পত্তি হয়। দশ কার্যদিবসে অধস্তন আদালত হতে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে শুনানির মাধ্যমে ২০ হাজার ৯৩৮জন জামিন পান।