Thank you for trying Sticky AMP!!

অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়েছে তদন্ত কমিটি

• তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি।
• অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতে তদন্ত কাজের অভিযোগ।
• অধ্যক্ষবিরোধী শিক্ষক আন্দোলন বন্ধ করার প্রস্তাব।
• প্রস্তাবে শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ।

কারমাইকেল কলেজ। ফাইল ছবি

কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করতে রংপুরে এসে কমিটির সদস্যরা অধ্যক্ষের পক্ষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতেও ‘তদন্ত কাজ’ করেছেন। এ ছাড়া অধ্যক্ষবিরোধী শিক্ষক আন্দোলন বন্ধ করার প্রস্তাবও তাঁরা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

‘বরাদ্দ মানেই অধ্যক্ষের পোয়াবারো; কারমাইকেল কলেজ’ শিরোনামে প্রথম আলোর প্রথম পাতায় গত রোববার সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিনেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) অধ্যাপক মো. আবদুল মালেক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং একই অধিদপ্তরের এইচআরএম মুহম্মদ নাসির উদ্দিন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা অবশ্য অধ্যক্ষের পক্ষ নেওয়াসহ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানতে চাইলে আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেছি। আর সরকারি কাজে মধ্যরাত পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালাতেই পারি। সমঝোতা ও শিক্ষকদের আন্দোলন থামানোর প্রস্তাব দেওয়ার কথাও ঠিক নয়।

তবে কারমাইকেল কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা গত সোমবার রংপুরে এসে প্রথমে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ডেকে নেন। এ সময় অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলতে দেখে তাঁরা ক্ষুব্ধ হন এবং তালা খুলে দিতে বলেন। নইলে তাঁরা তদন্ত না করেই চলে যাওয়ার হুমকি দেন। এরপর ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেওয়া হলে কমিটির সদস্যরা অধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ভেতরে ঢোকেন। গত বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাছে আমরা অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছি। এখন তদন্ত কমিটি যা ইচ্ছে করুক। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন স্থগিত থাকবে। এর পরদিন থেকে অধ্যক্ষের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলবে।’