Thank you for trying Sticky AMP!!

অনলাইনে কোরবানির পশু বেচাকেনা, হাসিল আদায় বন্ধে চিঠি

অনলাইনে বিক্রি করা কোরবানির পশু পরিবহনের সময় হাসিল আদায় বন্ধ, পশুবাহী ফেরি-যানবাহনকে অগ্রাধিকার প্রদান এবং পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছে সরকার।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারা দেশে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ পাওয়া গেছে, অনলাইনে বিক্রি করা পশু পরিবহনের সময় ক্রয়কারীর কাছে পৌঁছানোর সময় মহাসড়ক সংলগ্ন হাটের ইজারাদাররা হাসিল দাবি করেন। অনেক সময় জোর করে গবাদিপশু নামিয়ে রাখা হয়, যা কোনোক্রমেই কাম্য নয়।

কোরবানির পশুবাহী যানগুলো চাঁদাবাজি বা হয়রানি ছাড়া নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে, সেই বিষয়ে ফেরি পারাপারে এবং রাস্তায় এ ধরনের যানকে অগ্রাধিকার প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

আরেক চিঠিতে গবাদিপশু পরিবহন, বিক্রয় বা বিক্রয়ের পর ব্যবসায়ীরা যেন ছিনতাই, ডাকাতি বা কোনো প্রকার নিরাপত্তাহীনতায় না পড়েন সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে বুধবার এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহিত করছেন। সেটি বাস্তবায়নে আমরা সবাই মিলে কাজ করছি। সে কাজের প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তাহলে ধরে নেওয়া হবে করোনাকালে মানুষের সমাগম এড়িয়ে সুন্দরভাবে কাজ করার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।’

শ ম রেজাউল করিম আরও বলেন, অনলাইনে বিক্রি হওয়া কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে যেন পথে হয়রানি করা না হয়, সেই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারের নির্ধারিত এলাকার বাইরে পশু পরিবহন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই হাসিল আদায় করা যাবে না। হয়রানি করলে সেটা চাঁদাবাজি হবে, ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ ব্যবস্থা নেবেন।