Thank you for trying Sticky AMP!!

অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অধ্যক্ষ এমপিওভুক্ত?

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে এমপিওভুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কলেজ পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য মামলা করেছেন।
মামলার আরজি ও এলাকাবাসী সূত্রের বিবরণ অনুযায়ী, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিকান্দি তাজুল ইসলাম আদর্শ কলেজের প্রভাষক (কম্পিউটার শিক্ষা) কান্তি কুমার ভট্টাচার্যকে ২০১২ সালের ২৯ জুলাই নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিধিবহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ওই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ এনে ২০১২ সালের ১ আগস্ট যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করা হয়। কলেজের পরিচালনা পর্ষদের দুই সদস্য কাজী ইয়াবের হাসান (শিক্ষক প্রতিনিধি) ও নিয়াজুল হক (দাতা সদস্য) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলা বিচারাধীন। এ অবস্থায় অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে আগের কলেজের ছাড়পত্র ছাড়াই চলতি বছরের জুলাই মাসে ওই অধ্যক্ষ এমপিওভুক্ত হন।
ইয়াবের হাসান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্দেশিকা (আগস্ট ২০১২) অনুযায়ী, নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্রের মাধ্যমে নতুন প্রতিষ্ঠানে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ (এমপিও) প্রাপ্য হবেন। কিন্তু তিনি (অধ্যক্ষ) ছাড়পত্র ছাড়াই জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তাই ১৩ আগস্ট অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তির বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমি আদালতে মামলা করি।’
এ বিষয়ে দরিকান্দি তাজুল ইসলাম আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোবারক আলী গত শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কান্তি ভট্টাচার্যকে আজ পর্যন্ত (শুক্রবার) আমি ছাড়পত্র দিইনি। নিয়ম অনুযায়ী তিনি (কান্তি) এখনো আমার কলেজের প্রভাষক। ইতিমধ্যে তাঁকে এ কলেজে যোগ দিতে একাধিক নোটিশও দিয়েছি।’ তবে নবীনগর মহিলা কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাংসদ শাহ জিকরুল আহমেদ বলেন, ‘আমার জানামতে, আগের কলেজের অধ্যক্ষের স্বাক্ষরযুক্ত ছাড়পত্র আমার কাছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি (মোবারক আলী) হয়তো বিষয়টি ভুলে গেছেন।’ এ বিষয়ে মোবারক আলী বলেন, ‘তাহলে হয়তো আমার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। আমি যে ছাড়পত্র দিইনি, এটি শতভাগ সত্য।’ অধ্যক্ষ কান্তি কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘এমপিওভুক্তির জন্য ডিজি অফিস যেসব কাগজপত্র আমার কাছে চেয়েছে, আমি সবই জমা দিয়েছি।’
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আগের কর্মস্থলের ছাড়পত্র ছাড়া নতুন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কিংবা এমপিওভুক্তি কোনোটিই বৈধ নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’